পিয়ারার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় বিএনপি নেতা.অতঃপর যা ঘটলো

গাইবান্ধার সদর উপজেলার আফসার আলী (৪০) নামের এক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকে নারীসহ আটক করছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী রিফাইতপুর গ্রামে ওই নারীর নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়।
আফসার আলী বাদিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের রিফাইতপুর চরবাড়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পিয়ারি বেগম (৩৬) স্বামী সাকেদুল ইসলাম করোনার সময় মারা যায়। তার পর থেকে আফসার ওই বাড়িতে যাতায়াত করেন। বিষয়টি স্থানীদের সন্দেহ হয়।
গতকাল শক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আফসার আলী ওই নারী বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় স্থানীয় ওই বাড়ি ঘিরে রাখে এবং বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে একই রুমে দুইজনকে আটক করে রাখেন। আজ সকালে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ পুলিশকে খবর দেন। পিয়ারি বেগম দুই সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িতে আফসার আলী ঢোকার সাথে সাথেই আমি লোকজনকে খবর দেই।
পরে লোকজন আসলে ওই বাড়িতে একটি রুম থেকে দুইজনকে আমরা আটক করে রাখি। পিয়ারি বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই আফসার আলীর সাথে আমার সম্পর্ক। শুক্রবার রাতে আমার রুমে ঢুকতে স্থানীয় টের পায়। একঘন্টা পর তারা আমাদের একই রুম থেকে দুইজনকে আটক করে রাখে। যেহেতু তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক তাই আমি তাকে বিয়ে করব। আফসার আলী বলেন, প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে এসে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। বাদিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৌরভ তৌহিদ বলেন, ঘটনা সত্য, তাদের দুইজনের মধ্য বিবাহের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনা শোনার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। আমি যত টুকু শুনছি, তাদের দুই জনের মধ্য বিবাহ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে