ব্রেকিং নিউজ: হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী

ব্রেকিং নিউজ: হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও নির্বাচনী দায়িত্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবিত আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনীতে সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় ফের যুক্ত করা হয়েছে।

 ২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংশোধিত আরপিওতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে পুলিশ কর্মকর্তার মতোই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা নির্বাচনী অপরাধে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ ক্ষমতা প্রত্যাহার করে। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের মতো কর্তৃত্ব তখন আর সেনাবাহিনীর ছিল না। চলতি বছরের ১১ আগস্ট ইসি যে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো সেনাবাহিনীকে আবারও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের দাবির ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসি কমিশনার আব্দুর রহমান আল মাসুদ জানান, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ক্ষমতা দিলে তা সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে। এজন্য অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ সংশোধন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান জানান, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে, সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল আলিম বলেন, দেশের অতীতের বেশ কয়েকটি সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেনারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করায় ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও জালিয়াতি রোধ হয়। এবারের নির্বাচনে তারা পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকবে।