ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন ট্রাম্প!

ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন ট্রাম্প!

তীব্র সংঘাতময় ১২ দিন শেষে আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। মূলত, পরমাণু উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইরানের ওপর ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে বসে ইসরায়েল। ইরানও কঠিন জবাব দিতে থাকলে ইসরায়েলের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পরে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এখন আবার ইরানকে পরমাণু উন্নয়ন কর্মসূচি ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিতে পারে তার প্রশাসন। তবে, এর জন্য শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

 ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে, তবে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লিকে সংলাপের প্রস্তাব দিলেন শেহবাজ রোববার (২৯ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

 এদিন ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যদি তারা (ইরান) শান্তিপূর্ণভাবে থাকে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়, আর কোনো ক্ষতি না করে— তাহলে আমি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারি। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনে কঠোর বা নেতিবাচক হওয়ার চেয়ে সদয় এবং শান্তিপূর্ণ হওয়া বেশি কার্যকর। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে ইরানের জন্য।

এদিকে মার্কিন হামলার আগে ইরান তার ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছিল এমন দাবিও নাকচ করেছেন ট্রাম্প। রোববারের এই সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর আগে ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে পারেনি, কারণ এটি ভারী ও বিপজ্জনক পদার্থ, যা অল্প সময়ের মধ্যে সরানো সম্ভব নয়। আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লিকে সংলাপের প্রস্তাব দিলেন শেহবাজ তিনি বলেন, আমরা খুব একটা আগাম সতর্কবার্তা দিইনি।

 সুতরাং তারা কিছু সরিয়ে নিতে পারেনি। আসলে তারা ভাবতেও পারেনি আমরা হামলা চালিয়ে দেবো। ট্রাম্প এও দাবি করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলায় ইরান ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে তাদের পক্ষে পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার ভাষায়, আগামী কিছু সময়ের জন্য তারা পরমাণু নিয়ে আর কিছু করবে না।

তাদের অবস্থাটা এমন যে— তারা আর পারছে না। আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লিকে সংলাপের প্রস্তাব দিলেন শেহবাজ এছাড়া, আব্রাহাম চুক্তিতে আরও দেশ যোগ দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে করা আব্রাহাম চুক্তিতে আরও কিছু দেশ যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে কোনও দেশের নাম বলেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ যোগ দিয়েছে ইতোমধ্যেই। এখন আমরা আরও কয়েকটি দেশ এতে যোগ দিতে দেখবো। কারণ, ইরানই ছিল এই পুরো অঞ্চলের মূল সমস্যা।