ইরান যদি ভালো ব্যবহার করলে তেল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ইরান যদি ভালো ব্যবহার করলে তেল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে তেল রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শর্ত হচ্ছে, ইরানকে অবশ্যই শত্রুতাপূর্ণ আচরণ বন্ধ করে ভালো ব্যবহার করে শান্তির পথে ফিরে আসতে হবে।

স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আমাদের অনেক টাকা খরচ করছে, কিন্তু আমি ইরানের মতো দেশগুলোর জন্য এগুলো শিথিল করতে প্রস্তুত, যদি তারা ভালো আচরণ করে। তারা তেল বিক্রি করতে পারবে এবং অন্যান্য কাজও করতে পারবে যা তারা করতে চায়’।

 আরও পড়ুনঃ 'এখনো যুদ্ধবিরতি হয়নি, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে বন্ধ করবে ইরানও' গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে চীন এখন থেকে ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে। তবে এই পোস্টের ঠিক একদিন পর তিনি বলেন, ইরানের তেল রাজস্ব বন্ধ করার তার কোনও উদ্দেশ্য নেই, কারণ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর দেশটিকে পুনর্গঠনের জন্য এই অর্থ প্রয়োজন।

তবে শুক্রবার (২৭ জুন) ট্রাম্প জানান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পুনর্গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কাজ তিনি সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছেন। আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি করল ভারত রোববারের (২৯ জুন) সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই অভিযোগ নাকচ করে দেন যে তার প্রশাসন চীনকে নিষিদ্ধ ইরানি তেল কিনতে অনুমতি দিয়েছে।

 তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ আছে। তবে তিনি যোগ করেন, ‘যদি তারা কাজ করে, শান্তিপূর্ণ থাকে এবং প্রমাণ করে যে আর ক্ষতি করবে না, তাহলে আমি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব’। ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আব্রাহাম চুক্তির প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, ইরানের হুমকি আগে এই অঞ্চলে শান্তির প্রধান বাধা ছিল।

 ইরানই ছিল মূল সমস্যা। আরও পড়ুনঃ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প এও বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম একটা সময় আসবে যখন ইরানও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। সত্যি বলতে, সেটা তাদের জন্য বর্তমান অবস্থার চেয়ে ভালো হতো’।

তিনি আরও বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক প্রতিকূলতার পর নতুন কিছু দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে, তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।