ইরানের হামলায় আরেক ক্ষতি প্রকাশ করল ইসরায়েল

ইরানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করে ইসরায়েল। এরই ধারাবাহিকতায় তেলআবিবে আইডিএফ সদর দপ্তরের কাছে অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ার এবং মলে ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষয়ক্ষতি সুকৌশলে গোপন রেখেছিল তারা।
অথচ যুদ্ধের শুরুতেই ইরানি মিসাইল সেখানে সফল আঘাত হানে। অবশেষে তা স্বীকার করে নিল ইসরায়েল। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের কাছে একটি বিলাসবহুল আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ১৫০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ এই তথ্য আগে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রকাশ করা হয়নি। কারণ কর্তৃপক্ষ প্রভাবের স্থান সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত প্রতিবেদনগুলোকে গোপন করে রেখেছিল। যুক্তি দিয়েছিল, ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আরও ভালোভাবে ক্যালিব্রেট করার জন্য সে তথ্য ব্যবহার করতে পারে।
এখন জানা যাচ্ছে, আইডিএফ সদর দপ্তরের কাপলান স্ট্রিটের প্রবেশপথের কাছে অবস্থিত ৩২ তলা আবাসিক টাওয়ারটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ফলে আগুন ধরে যায় এবং এর বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়। পৃথকভাবে চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, কিরিয়া শহরের আশপাশে অবস্থিত আজ্রিয়েলি মলও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও পড়ুনঃ ফোর্দো শেষ হয়ে গিয়েছে : ট্রাম্প মূল ভবনটি অক্ষত তবে রাস্তার দিকে সরাসরি খোলা বেশ কয়েকটি স্টোরফ্রন্ট ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যার আনুমানিক পরিমাণ দশ লক্ষ শেকেল। রাস্তা থেকেও মলের সম্মুখভাগের কিছু ক্ষতি দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার কয়েকদিন পর লুটকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য এবং নগদ টাকা চুরি করে। ১২ দিনের সরাসরি সংঘাতের সময় ইরান ইসরায়েলে ৫০০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যার ফলে ২৮ জন নিহত হয় এবং হাজার খানেক আহত হয়েছেন।