বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় ইউটিউবার গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের বিমানবন্দর থেকে দেশটির বিখ্যাত ইউটিউব তারকা সাদ উর রহমান ওরফে ডাকি ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির জাতীয় অপরাধ তদন্ত সংস্থা (এনসিসিআইএ)। নিজ দেশ ত্যাগ করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ ইউটিউবারকে। সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনলাইন জুয়া ও বাজির অ্যাপ্লিকেশনের প্রচারণার অভিযোগে ইউটিউবার ডাকি ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পাকিস্তানের জাতীয় অপরাধ তদন্ত সংস্থা এনসিসিআইএ। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
এদিন বিকেলে বিচার বিভাগীয় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলা হয় ডাকি ভাইকে। এ সময় আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এনসিসিআইএকে অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনসহ গ্রেপ্তারকৃতকে আগামী মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) আদালতে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডাকি ভাইকে গ্রেপ্তারের পরই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কর্তৃক মামলা নথিভুক্ত করা হয়। পাকিস্তান দণ্ডবিধির ধারা ১৩ (ইলেকট্রনিক জালিয়াতি), ১৪ (ইলেকট্রনিক জালিয়াতি), ২৫ (স্প্যামিং) ও ২৬ (স্পুফিং) এবং ধারা ২৯৪ বি (বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত পুরস্কার প্রদান) এবং ৪২০ (প্রতারণা এবং অসৎভাবে সম্পত্তি হস্তান্তর) এর অধীনে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলাটি গত ১৩ জুনের একটি তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং নির্ভরযোগ্য উৎস্য থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কিছু ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে জুয়া ও বাজির অ্যাপ্লিকেশনের প্রচারণা করছেন। এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, এ কারণে জনগণ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ওই অ্যাপ্লিকেশনগুলোয় বিনিয়োগ করেছে এবং আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
এ কারণে ইউটিউবার ডাকি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কয়েকটি নিষিদ্ধ অ্যাপ্লিকেশনসহ বিভিন্ন জুয়া ও বাজির অ্যাপ্লিকেশনের প্রচারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ডাকি ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২৭টি ভিডিও লিঙ্ক পাওয়া গেছে, যেসব ভিডিওতে নিষিদ্ধ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর প্রচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে এফআইআর-এ। এর আগে শনিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অপরাধ তদন্ত সংস্থা লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এফআইএ ইমিগ্রেশন থেকে তথ্য পায় যে, ডাকি ভাই দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাকে আইবিএমএস সিস্টেমের মাধ্যমে শনাক্ত করে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার ফোন জব্দ করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিষিদ্ধ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচিতদের আলাপচারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্থ আদান-প্রদানের ও বিভ্রান্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় এ ইউটিউবারকে।