জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত ছয় সাংবাদিক হত্যাকারীদের বিচারের দাবি 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত ছয় সাংবাদিক হত্যাকারীদের বিচারের দাবি 

রিপোর্ট :জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের হামলায় আহত প্রায় সারা দেশে দের শতাধিক  সাংবাদিক।তাদের সহযোগিতা এবং সরকারি বাবে চিকিৎসার ব‍্যবস্থাসহ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে  বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়ন। সভাপতি মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভূইঁয়া ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল  ইসলাম দাবি করেন নিহত ছয় সাংবাদিকের আত্মীয়স্বজন এবং সহকর্মীরা বিচারিক তদন্তে বিলম্ব এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণের না পাওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, ছয় সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্যে ধীরগতিতে কাজ করছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানিয়েছে।

এই পরিবারগুলি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক পরিচালিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সমাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

সভাপতি  (৪আগস্ট) বলেছেন, প্রায় এক বছর পর, আইসিটি তদন্তের ফলে ১৯ জুলাই ২০২৪ সালে সংঘটিত আবু তাহের মো. তুরাব হত্যাকাণ্ডে মাত্র দুই সন্দেহভাজনকে সংক্ষিপ্তভাবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। মেহেদী হাসানের মৃত্যুর তদন্তে মাত্র দুজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে - যা ১৮ জুলাই ২০২৪ সালে ঘটেছিল - যাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাছাড়া, মেহেদী হাসানের বাবা এবং ১৯ জুলাই ২০২৪ সালে নিহত ভিডিও সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়ের মা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে মামলায় অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন।

নিহত ছয় সাংবাদিক হলেন দৈনিক ভোরের আওয়াজের সংবাদদাতা শাকিল হোসেন, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক মেহেদী হাসান, দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং জালালাবাদ পত্রিকার আলোকচিত্রী আবু তাহের মো. তুরাব, TheReport.live-এর ভিডিও সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়, দৈনিক খবরপত্রের সংবাদদাতা প্রদীপ কুমার ভৌমিক ও দৈনিক লোকালয় বার্তার প্রতিবেদক সোহেল আখঞ্জি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে  এবং আওয়ামী লীগের  হামলায় সারা দেশে প্রায় দের শতাধিক  সাংবাদিক আহত হয়েছেন।