একেকের উদ্যোগে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ

একেকের উদ্যোগে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ

মাহবুব হাসান টুটুল : ফরিদপুরের চরাঞ্চলে নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। জেলার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আমরা কাজ করি (একেকে)’-এর উদ্যোগে “চরাঞ্চলে ইকোলজিক্যাল ফার্মিং পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কৃষক ও কৃষাণীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।


প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে চরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বাজারে সুলভ মূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।


গতকাল রবিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলায় একেকে'র প্রধান কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় চেক বিতরণ অনুষ্ঠান। প্রতিজন এক লক্ষ টাকা করে ৫ জন কৃষক ও কৃষাণীর হাতে মোট ৫ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন একেকে’র নির্বাহী পরিচালক এম. এ.জলিল ও উপ-পরিচালক বি এম আলাউদ্দিন।


অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ক্রেডিট কর্মসূচির পরিচালক শিমুল কুমার চক্রবর্তী, এইচআর কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, অডিট কো-অর্ডিনেটর মনিরুজ্জামান মাসুদ, সহকারী অডিট অফিসার মাহবুব হাসান টুটুল, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এম.এ কুদ্দুস মিয়া, সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ আল আমিন হোসেনসহ একেকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।


প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এম.এ কুদ্দুস মিয়া বলেন, প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সোলার প্যানেল দ্বারা সেচের পাইলটিং কার্যক্রম, নেট হাউজ স্থাপন এবং কোকো ডাস্ট দ্বারা চারা উৎপাদনের প্রদর্শনী কার্যক্রম। এই প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিগুলো কৃষকদের মধ্যে কৃষি উৎপাদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।


উপ-পরিচালক বি এম আলাউদ্দিন বলেন, আমরা শুধু চেক দিচ্ছি না, কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন, বাজার সংযোগ এবং উৎপাদন ব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে পাশে থাকছি।  প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে এ ধরনের উদ্যোগ দেশের টেকসই কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।


সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম. এ. জলিল বলেন, এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চরাঞ্চলের কৃষিতে পরিবেশবান্ধব টেকসই উৎপাদন  ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে  এবং তাদের উৎপাদন খরচ কমে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।


উল্লেখ্য, প্রকল্পটি কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে প্রকল্পটির অর্থায়ন করেছে  ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (IFAD) এবং ডেনমার্কের দূতাবাস। উক্ত ভ্যালু চেইন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আমরা কাজ করি (একেকে)।