বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়ায় ক্ষোভে যে কাণ্ড ঘটালেন যুবক

বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়ায় ক্ষোভে যে কাণ্ড ঘটালেন যুবক

পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ক্ষোভে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন ২২ বছর বয়সী এক যুবক। তবে পরিবারের দাবি ওই যুবক মানসিক রোগী। কেন সে এমন কাজ করেঠে বুঝতে পারছেন না তারা। গুরুতর আহতবস্থায় ওই যুবককে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৬ জুন পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটোলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মানিকনগর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা জানান, ওই যুবক পেশায় একজন এস্কেভেটর চালক। তার তিন বোনের মধ্যে বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। তার ছোট আরও দুটি বোন অবিবাহিত।

 পরিবার থেকে প্রায়ই তাকে বিয়ের কথা বলা হলে সে রাজি হত না। ঘটনার দিন দুপুরে তার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাজার থেকে ব্লেড এনে বাথরুমে গিয়ে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।

আরও পড়ুনঃ ভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইন্ডিয়ান ‘র’, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস! কিছুক্ষণ পর তার চিৎকারে সবাই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে অস্ত্রপচার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কৈটোলা ইউনিয়নের ৯ নং ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে পুলিশ কেস হওয়ায় হাসপাতালে তাকে তাৎক্ষনিক ভর্তি করা সম্ভব হয়নি।

 পরে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই যুবক পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে তিনি জানান। আরও পড়ুনঃ ট্রাম্পকে ‘চরমভাবে’ হতাশ করলেন পুতিন! নেপথ্য যে কারণ তবে এ বিষয়ে ওই যুবকের বাবা বলেন, ছেলেটা মানসিক রোগী। দীর্ঘদিন ধরে তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। চিকিৎসায় সে অনেকটা সুস্থ।

কিন্তু কি কারণে এমন কাজ করলো আমরা বুঝতে পারছি না। তিনি আরও জানান, যুবক ছেলেকে সবাই বিয়ের কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। ওর নানা ও দুলাভাই মাঝে মধ্যে বিয়ের কথা বলতো। তবে ঘটনার দিন আমি বাড়ি ছিলাম না। আরও পড়ুনঃ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর... পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রপচার ঢাকা মেডিকেল কলেজেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন সে আশংকামুক্ত। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।