ঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (২৮ জুন) মধ্যরাতে জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাত ১টা নাগাদ রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ বিচার দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা- ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’, ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘২৪ এর বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, – ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। আরও পড়ুনঃ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর সভাপতিসহ ১৫ নেতার পদত্যাগ এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে ঘরের দরজা ভেঙে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে।
পরে শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ২৫ বছর বয়সী ওই নারী বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আরও পড়ুনঃ নিজের সংগঠনের বিরুদ্ধেও কথা বলব : ঢাবি শিবির সেক্রেটারি অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী ফজর আলী বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির পদ প্রত্যাশী বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ফজর আলী দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং তিনি ১১নং রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া খোকনের বডিগার্ড হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
পরে গত ৫ই আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে আসছেন। আরও পড়ুনঃ ছাত্রশিবির সভাপতির ভূমিকা নিয়ে ছাত্রদলের অভিযোগ, পুলিশের নাকচ অভিযোগপত্রে ওই নারী জানান, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার বাড়ির দরজায় এসে ডাকাডাকি শুরু করে।
তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে ভুক্তভোগীর চাচি এবং স্থানীয় কয়েকজন পূজার অনুষ্ঠান থেকে ছুটে এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তারা ঘরে ঢুকে ফজর আলীকে ধর্ষণের সময় হাতে-নাতে দেখতে পান।