চার স্কুলছাত্রীকে বাসায় ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার নিজ বাসায় ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার প্রেমতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীদের উদ্ধার করে শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিকেলে সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম। আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দিতে না পেরে ঘুষ ফেরত দিলেন প্রধান শিক্ষক পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত মিজান ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আর্ট ও কম্পিউটার বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তার বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার সেরাল পূর্বপাড়া গ্রামে।
তবে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার প্রেমতলা এলাকার ফারুক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আর্ট ও কম্পিউটার বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান সপ্তাহে একদিন শুক্রবার শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
এ সুযোগে বিভিন্ন সময় তিনি দশম শ্রেণীর চার ছাত্রীকে ভালো আর্ট ও কম্পিউটার শেখানোর প্রলোভন দেখান। কিশোরী বয়সের সরলমনা ছাত্রীরাও তার প্রলোভনে পড়ে শিক্ষক মিজানের মোহাম্মদপুরের বাসায় চলে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে শিক্ষক মিজান ওই চার ছাত্রীকে গত ৬ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে সেই বাসা থেকে কৌশলে এক ছাত্রী পালিয়ে এসে আটক অপর তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।
এরপর অভিভাবকরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ঢাকার মোহাম্মদপুরে মিজানের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং ভুক্তভোগী তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে। আরও পড়ুনঃ ড. ইউনূস থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে জনগণ: সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রেফতারকৃত মিজানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে পূর্বের আরও একটি মামলা রয়েছে উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার চার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সেখান থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের জবানবন্দি দিতে আদালতে পাঠানো হবে।’ এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে গ্রেফতারকৃত মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলেও জানান ওসি শরিফুল ইসলাম।