যে কারণে কাতারের আমিরের প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ

কাতারের ভূখণ্ডে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
খবর আল জাজিরার। কাতারের আমিরের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা বলেছেন দুই নেতা। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল শুধু যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি, কাতার বা তার জনগণ নয়।
এটা উপসাগরীয় দেশটির (কাতার) জন্য কোনো হুমকি নয়।’ আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব মুসলিমের জন্য ‘বিরল’ ফতোয়া জারি এতে আরও বলা হয়েছে, ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, একটি প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক অটুট থাকবে।
পেজেশকিয়ান আশা করেন, দুই দেশের সম্পর্ক সর্বদা সার্বভৌমত্ব আর সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে বজায় থাকবে। কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম এই মার্কিন ঘাঁটিতে সোমবার ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে ১৮টি কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিহত করেছে। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, রোববার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য সামরিক আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান ‘বি-২’ নির্মাণে খরচ কত ইরানের হামলার সময়, কাতারের রাজধানী দোহা এবং দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে ধারাবাহিক অগ্নিসংযোগ এবং বিকট বিস্ফোরণ লক্ষ্য করা গেছে। কাতারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আক্রমণের আগে খালি করা হয়েছিল মার্কিন বিমানঘাঁটি। এই হামলার পরই ইরানের প্রতি তীব্র নিন্দা জানায় দোহা।
এটিকে ‘কাতারের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ উল্লেখ করেন কাতারে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি বলেন, এই লঙ্ঘন সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতি এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ, যখন কাতার সর্বদা ইরানে সংঘাত বন্ধে কঠোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।