১২ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা ৭শ’ ‘ভাড়াটে’ সেনাদের গ্রেফতার করেছে ইরান

ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ফার্স নিউজ এজেন্সি স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ জুন) জানিয়েছে, গত ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ৭শ’ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এজেন্সির রিপোর্টে অভিযুক্তদের ‘ইসরায়েলের ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে ইউএস সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়। ফার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগই ‘গুপ্তচর নেটওয়ার্কের’ সাথে যুক্ত ছিল।
স্থানীয় জনসাধারণের তথ্য ও গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পায়নি ইরান, শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের হুমকি গ্রেফতার কার্যক্রম ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফার্স ও লোরেস্তান উল্লেখযোগ্য। তবে, তেহরানে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইতিমধ্যে স্বীকার করেছে যে ইরানের অভ্যন্তরে তাদের এজেন্টরা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে কাজ করছিল। গত ১৩ জুন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভূতপূর্ব হামলার আগে মোসাদ তাদের গুপ্তচরদের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছিল, যেখানে ইরানের ভেতর থেকে ড্রোন হামলা চালানোর প্রস্তুতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ইরান-ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ থামানোয়’ নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন এই ঘটনাগুলো ইরান সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীতে একপ্রকার ‘প্যারানোয়া’ তৈরি করেছে। দেশটির প্রশাসন এরইমধ্যে অনলাইনে ইসরায়েলের পক্ষে লেখালেখি বা পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে বহু মানুষকে গ্রেফতার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে ‘সমাজের মানুষের মানসিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তি কঠোর হস্তে দমন করার লক্ষ্যে, দেশটির রাজধানী তেহরানের প্রসিকিউটর অফিসে একটি নতুন ইউনিট তৈরি করা হয়েছে, যা মিডিয়া ও ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছে।
আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলি নেতৃত্বের একটি অংশ ক্রিমিনাল: ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইরানের অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একাধিক ‘ইসরায়েলি গুপ্তচরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে এই খবরের স্বাধীন সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।