ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, মার্কিন স্বীকারোক্তি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, মার্কিন স্বীকারোক্তি

পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে চালানো মার্কিন সামরিক হামলা ‘গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি’ হলেও তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে পেন্টাগন। খবর মেহের নিউজের।

রোববার (২২ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে বড় ধাক্কা দেওয়া, কিন্তু তা গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার মধ্যরাতে চালানো ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে হেগসেথ জানান, ইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনাটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটিয়েছি, তবে তা নির্মূল করতে পারিনি। আরও পড়ুনঃ শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার. অতঃপর যা জানা গেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এই অভিযান ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য ইরানে সরকার পরিবর্তন নয়।

 বরং, এ হামলা ছিল ইসরায়েলকে ঘিরে উত্তেজনা ও ইরানের আগ্রাসনের জবাব হিসেবে ‘সুনির্দিষ্ট ও সীমিত প্রতিক্রিয়া’। হেগসেথ দাবি করেন, অভিযানের প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে ‘প্রত্যাশিত প্রভাব’ অর্জিত হয়েছে। তার ভাষায়, এটি ছিল অবিশ্বাস্য এক হামলা। আমরা যেটুকু করেছি, সেটাই ছিল সব।

তেহরান যদি প্রতিশোধ নেয়, তাহলে সেটি হবে একটি গুরুতর ভুল। আরও পড়ুনঃ জুমার নামাজের পর তেহরানের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ, জীবন উৎসর্গের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালায় এমন এক সময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টা হামলার পর ধারণা করা হচ্ছিল, বড় ধরনের যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে।

 মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরেই আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল যে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্রায়নে ব্যবহার করতে পারে। তবে এবারের হামলার পর পেন্টাগনের সরল স্বীকারোক্তি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

 একদিকে ইরান দাবি করছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে আঘাত তেমন কিছুই হয়নি, অন্যদিকে পেন্টাগনের বক্তব্যও বুঝিয়ে দিয়েছে- এই হামলার সামরিক ও কূটনৈতিক ফলাফল এখনো অনিশ্চিত আরও পড়ুনঃ ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র, যে প্রতিক্রিয়া জানাল তুরস্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, হেগসেথের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র একবারে খোলামেলা যুদ্ধ নয়, বরং নিয়ন্ত্রিত শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিয়েছে।

 আর এটাই হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা- যুদ্ধ নয়, কিন্তু সুনির্দিষ্ট সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে তেহরান কীভাবে এর জবাব দেবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর সেই উত্তরের উপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পরবর্তী রূপ