সাবেক প্রেসিডেন্টের ২২ বছরের কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার একটি আদালত শুক্রবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মনসেফ মারজুকিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ২২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। মারজুকি বর্তমানে নির্বাসনে রয়েছেন।তিনি প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের একজন কড়া সমালোচক।
মনসেফ মারজুকি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি কায়েস সাঈদকে স্বৈরশাসক বলে অভিহিত করেন।তার অভিযোগ, সাঈদ ২০২১ সালে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ও ডিক্রি জারি করে প্রায় সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন।
এদিকে মামলার রায় নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে দমন-পীড়নের আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে।
এটি মূলত মারজুকির বিরুদ্ধে তৃতীয় দণ্ডপ্রাপ্ত রায়। এর আগে এক মামলায় তাকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং আরও এক মামলায় ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নতুন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্যারিসে নির্বাসিত মারজুকি বলেন, “এই বিচারকরা অবৈধ, তাদের রায়ও অবৈধ। তারা নিজেরাই একদিন বিচারের মুখোমুখি হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র একদিন ফিরে আসবেই।”
এদিকে একই দিনে দেশটির আরেকটি আদালত আন-নাহদা দলের জ্যেষ্ঠ নেতা সহবি আতিককে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী।
এ রায়টি যদিও তুলনামূলকভাবে হালকা। তবে গত এপ্রিলে দেশটির একাধিক বিরোধী নেতা, আইনজীবী ও ব্যবসায়ীকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সর্বোচ্চ ৬৬ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ মুহূর্তে তিউনিসিয়ার বেশিরভাগ প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রি কনস্টিটিউশনাল পার্টির প্রধান আবির মৌস্সি এবং আন-নাহদা দলের প্রধান রাশেদ ঘান্নোশি —যারা প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী। সূত্র: রয়টার্স