ঘুষের বিনিময়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের আশ্রয় দিচ্ছেন কাঠালিয়া থানার ওসি

ঘুষের বিনিময়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের আশ্রয় দিচ্ছেন কাঠালিয়া থানার ওসি

স্টাফ রিপোর্টার -ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ  মংচেলা ও এ.এস.আই মাসুম কাঠালিয়া থানার শ্রেষ্ঠ দালাল সাংবাদিক মো. ফারুক হোসেন খান ও তার ছেলে মো.সিয়াম খানকে১টি  মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। ওই মামলার বাদি ছিলেন মোঃ রাজিব খান।

মামলার বাদি মো.রাজিব খান সাংবাদিকদের জানান আমার নিজ বসতবাড়িতে কাঠালিয়া থানার শ্রেষ্ঠ দালাল মো.ফারুক হোসেন খান ও তাহার ছেলে মো. সিয়াম খানসহ লোকজন গিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে এবং আমাকে প্রাণে মারা জন্য পায়েতারা চালায় যাহার কিছু বেশি অস্ত্র ফেলে রেখে চলে যায়। 

আমার মামলায় উল্লেখ্য সাক্ষীগণ যদি উপস্থিত না হতো তাহলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। এবিষয়ে আমি কাঠালিয়া থানায় মামলা করতে গেলে কাঁঠালিয়া  থানার ওসির মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে আমি ঝালকাঠি বিজ্ঞান আদালতে একটি মামলা করেছি মামলাটি কাঁঠালিয়া থানায় তদন্তের জন্য দিয়েছে। কাঠালিয়া থানার বর্তমান  ওসি মংচেলা  টাকার বিনিময় ও তাহার  ইনকামের পুত মো.ফারুক হোসেন খান ও তাহার ছেলে ছিয়াম খানকে রিপোর্ট থেকে বাদ দিয়েছে।মামলার  তদন্তকারী কর্মকর্তা এ.এস.আই মাসুমের ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মামলা থেকে মো. ফারুক খান ও তার ছেলে মো.ছিয়াম খানকে বাদ দেইনি বিষয়টি ওসি দিয়েছে। পরবর্তীতে কাঁঠালিয়া থানার ওসির ব্যবহারকৃত সরকারি মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি মোবাইল  রিসিভ করেন না। 

 গোপন সূত্র জানা যায় কাঠালিয়া থানার ওসি যোগদান করার পরে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ভূমিদস্যুতা, ধর্ষণ, জুলাই যোদ্ধাদের উপর হামলা সহ দিনে দিনে আইনশৃঙ্খলার সহ নানান অপরাধ বেড়ে  চলছে তাহার পরেও  বহন রয়েছে ওসি।তবে এই ওসিকে অনঅতি বিলম্বে আমরা প্রত্যাহার চাই এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়ার আহ্বান জানাই।আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সময় কাঠালিয়া থানার বর্তমান ওসি মংচেলা ঝালকাঠিতে কোডের ইন্সপেক্টর এর দায়িত্ব পালন করে সেই সময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু আস্থাভাজন  হিসেবে লোকোবলের কাছে পরিচিত ছিল।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঝালকাঠিতে ছাত্রদের উপরের লাঠিচার্জ করেছি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। 

অনতিবিলম্বে তাহার বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করবে জুলাই যোদ্ধা ঝালকাঠি শাখার সদস্যগন।কারণ কাঁঠালিয়া থানাতে দুই জুলাই  যুদ্ধার উপরে হামলা হওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ওসি। কাঠালিয়া বটতলা বাজারে মর্মান্তিক একটি ঘটনা হয়েছে সেখানে কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ যেতে লাগে দশ মিনিট। ঘটনার আড়াই ঘন্টা পরে ঘটনা স্থান পৌঁছেছে কাঠালিয়া থানা পুলিশ। জনসাধারণের মুখে শোনা যায়যে এই কর্মকাণ্ডের সাথে ওসি জড়িত ছিল এবং মোটা অংকের  টাকা খেয়েছে যে কারণে সে আড়াই ঘন্টা পরে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছে। গণমাধ্যমে ঘুষ কেলেঙ্কারি,আওয়ামী লীগের লোকজনদের প্রশ্রয় দেয়ার নিউজ প্রকাশ হওয়ার পরেও তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।