কাশ্মীরেই আছে পেহেলগামের হামলাকারীরা, সঙ্গে রয়েছে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

কাশ্মীরেই আছে পেহেলগামের হামলাকারীরা, সঙ্গে রয়েছে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত হামলাকারীদের মধ্যে চারজন এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছে।

এ ছাড়া লুকিয়ে থাকার জন্য খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আগে থেকেই মজুদ করেছে তারা—এমন ধারণা করছে ভারতীয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জাতীয় তদন্ত সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যাকারীদের মধ্যে পলাতক চার সন্ত্রাসী কাশ্মীরেই রয়েছে। ‘সন্ত্রাসীরা স্বাবলম্বী’ হতে পারে, অর্থাৎ জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বহন করছে। আর এ জন্য তারা এতদিন নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান সত্যেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

দেশের বাইরে থেকে অর্থাৎ পাকিস্তান থেকেও তাদের লজিস্টিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দূর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এনআইএ সূত্র বলছে, ওজিডব্লিউ বা ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল সন্দেহে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে তারা অনুসন্ধান করেছে আরও চারটি স্থান। এর মধ্যে আরু ও বেতাব উপত্যকাও রয়েছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে, সন্ত্রাসীদের কাছে উন্নত যোগাযোগ সরঞ্জাম ছিল। ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলোতে সিম কার্ডের প্রয়োজন ছিল না এবং স্বল্প-পাল্লার এনক্রিপ্টেড ট্রান্সমিশন সক্ষম ছিল। যার কারণে কঠিন ছিল হামলা আটকানো।

হামলাকারীরা তিনটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করেছিল বলে জানা গেছে। সম্ভবত তাদের অবস্থান গোপন করার জন্য এবং দুপুর ১টা ১৫মিনিটে শুরু করা হামলার আগ পর্যন্ত ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য এড়াতে তারা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করেছে।

আক্রমণের পরিকল্পনাটি এমনভাবে সাজানো হয় যেখানে তিন হামলাকারী আশেপাশের গোপন স্থান থেকে বেরিয়ে এসে পর্যটকদের ওপর গুলি চালায় এবং চতুর্থজন প্রয়োজনে ব্যাক-আপ দেয়ার জন্য লুকিয়ে থাকে। তবে এ ঘটনায় আরও কেউ সম্পৃক্ত থাকতে পারে যারা আশপাশে লুকিয়ে রয়েছে বলে ধারণা করছে ভারতের গোয়েন্দারা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএ। এর আগে সর্বশেষ জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় নিহত হয়েছিল ৪০ জন ভারতীয় সেনা।