বেতাগীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা,  গ্রেফতার -১

বেতাগীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা,  গ্রেফতার -১

বেতাগী (বরগুনা)প্রতিবেদক: বরগুনার বেতাগীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মোঃ খোকন হাওলাদার (৬০) নামের এক ব্যক্তি। মামলাটি বরগুনা জেলার বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে। বাদী মোঃ খোকন হাওলাদার বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বেতাগী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নেছার উদ্দিন খান (৪৫), যার পিতা আনোয়ার হোসেন (আবু খা)। দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ মিন্টু হাওলাদার (৪০), পিতা মোঃ পান্না হাওলাদার এবং তৃতীয় আসামি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ মিন্টু আকন (৪৮), পিতা মুজাফফর আকন। মামলায় আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত বিচার আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪/৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বরগুনা আদালতের সি/আর ৬০/২০২৫ নম্বর মামলাটি নালিশি দরখাস্তের মাধ্যমে দায়ের করেন বাদী খোকন হাওলাদার। মামলাটি বেতাগী থানার মামলা নং ৭ , তারিখ : ২২ এপ্রিল ২০২৫।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১০টার দিকে বেতাগী পৌরসভার টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় অভিযুক্তরা নিজেদের তৈরি মনগড়া রশিদ ব্যবহার করে ইজিবাইক, অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা আদায় করেন। বাদীর অভিযোগ, এক নম্বর আসামি নেছার উদ্দিন খান পৌরসভার নামে জাল রশিদ তৈরি করে সাধারণ চালকদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে অর্থ আদায় করছেন।

বাদী খোকন হাওলাদার বলেন, “নেছার উদ্দিন যে রশিদ ব্যবহার করছেন তা সম্পূর্ণ জাল এবং জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরীকৃত। এটি একটি বেআইনি কর্মকাণ্ড এবং আমি মনে করি এটি স্পষ্ট চাঁদাবাজি।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে পূর্বে বেতাগী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে, নেছার উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বৈধভাবে ইজারার চার ভাগের এক ভাগ অংশীদার। আমার অংশে আমি রশিদ দিয়ে টোল আদায় করছি, এতে চাঁদাবাজির কিছু নেই।”

বেতাগী পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনার পর চাঁদা আদায় ও জাল রশিদ ইস্যু নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন বলছে, মামলার তদন্ত চলমান এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, “খোকন হাওলাদার একজন ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন এবং মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আমরা একজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”