এবার সইতে না পেরে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে আত্মহত্যা

এবার সইতে না পেরে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে আত্মহত্যা

বরগুনার তালতলীতে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। প্রথম স্ত্রী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেওয়ায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন- মো. ইকবাল (২০) পাশ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের শুক্কুর হাওলাদারের ছেলে। এবং ডিভোর্সী লামিয়া (২০) পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পূর্ব সুবেদখালী গ্রামের জাফর ফকিরের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইকবাল ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতে করতেন। সেখানে প্রেমের সম্পর্কে মাধ্যমে দুই বছর আগে ভোলা জেলার নাজমা আক্তারকে বিয়ে করেন। পরে প্রথম স্ত্রী নাজমা আক্তারকে বাড়িতে রেখে ফের নিজ কর্মস্থল ঢাকায় যান ইকবাল। পরে সেখানে কাজের সুবাদে পরিচয় হয় ডিভোর্স প্রাপ্ত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার লামিয়ার সঙ্গে। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গত নয় মাস আগে বিয়ে করেন তারা। এরপর ঈদের ছুটিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এলে প্রথম স্ত্রী স্বামী ইকবালের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নেননি। এছাড়াও প্রথম স্ত্রী স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। এ অবস্থায় ইকবাল নিজের বাড়িতে উঠতে না পেরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তালতলী উপজেলার চাউলাপাড়া গ্রামের রহিম ডাক্তার বাড়িতে উঠেন। রহিম ডাক্তার ইকবালের বোনের শ্বশুর। ওই বাড়ির একটি কক্ষেই তারা আত্মহত্যা করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ইকবালের বাবা শুক্কুর হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে ঢাকায় কাজ করতেন। সেখানে তিনি নিজে নিজে দুই বছর আগে প্রথম স্ত্রী নাজমা আক্তারকে বিয়ে করেন এবং গত ৮-৯ মাস আগে লামিয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী লামিয়াকে নিয়ে বেয়াই বাড়িতে আসেন এবং সেখানে আত্মহত্যা করেন।


এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অন্য কোনো বিষয় থাকলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।