বরগুনায় তরমুজ বিক্রিতে চাঁদা দাবি, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কারাগারে

বরগুনার তালতলীতে তরমুজ বিক্রির সময় চাঁদা দাবির অভিযোগে মো. জহিরুল ইসলাম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর দুই টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকা থেকে জহিরুলকে আটক করা হয়। আটক জহিরুল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। জানা যায়, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরপাড়া এলাকার তরমুজ চাষী মোঃ রাকিব তার ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি করেছিলেন। এ সময় জহিরুল তার লোকজন নিয়ে চাঁদা দাবি করেন। পরে বিষয়টি তালতলী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জহিরুলকে আটক করে।
পরে গতকাল রাতে জহিরুলসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে তালতলী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী রাকিব। এ মামলায় জহিরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি মো. রাকিব বলেন, দুপুরে পাইকার যখন তরমুজ নিতে আসে তখন জহিরুলসহ কয়েকজন এসে চাঁদা দাবি করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে জহিরুলকে আটক করেন। বরগুনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম সোহেল বলেন, জহিরুল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির ১৪ নম্বর সদস্য। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা শুনেছি। দলীয়ভাবে জহিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি সে দলের পদ পদবী ব্যবহার করে কোনো অন্যায় কাজের সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, চাঁদা দাবির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জহিরুলকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে চাঁদা দাবির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় জহিরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনায় আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।