মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের ৬ চ্যালেঞ্জ

মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের ৬ চ্যালেঞ্জ

আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাবার পর ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এখন নতুন বাস্তবতায়। বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সামনে রোহিঙ্গা সংকট, আরাকান আর্মিকে সামলানোসহ অন্তত ৬টি চ্যালেঞ্জ। যা মোকাবিলায় দিতে হবে বিচক্ষণতার পরিচয়। এপারে কক্সবাজার, বান্দরবান আর রাঙ্গামাটি। ওপারে বিস্তীর্ণ রাখাইন। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্তের পুরোটাই এখন দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। বুথিডং ও শিনের পর জান্তা বাহিনী সবশেষ দখল হারায় মংডুর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন এক মেরুকরণের মুখে দু’দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা। কেননা, অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দুদেশের সীমান্ত বাণিজ্য দীর্ঘমেয়াদী স্থবিরতার মুখে পড়বে। এছাড়া নাফনদীতে মাছ ধরাও পড়বে হুমকির মুখে। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের চলমান একটা ব্যবসার যে ট্রেন্ড ছিল সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।

 সীমান্তে যেসব বাণিজ্য হতো সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও অবৈধ পথে কিছু পণ্য আসতো। কিন্তু বৈধ পথে যে বাণিজ্য হতো সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও সীমান্তে নতুন পরিস্থিতিতে আরও বাংলাদেশের জন্য পাঁচটি চ্যালেঞ্জ দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর এমদাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্ডার সামাল দেয়া, আরাকান আর্মিকে সামাল দেয়া, মিয়ানমারের সঙ্গে যে বোঝাপড়া, রোহিঙ্গাদের প্রভাব এই বিষয়গুলো আরেকটু জটিল হয়েছে। ওপারে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা এখন আরাকান আর্মির তোপের মুখে। কেননা, রোহিঙ্গাদের একাধিক সশস্ত্র সংগঠন এবার আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়েছে জান্তার পক্ষে।

 যা রোহিঙ্গা সংকটকে দীর্ঘ ও গভীর করবে বলে মত বিশ্লেষকদের। আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুক জেনেছি, একটা গ্রুপ মিয়ানমার আর্মিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এর ফলে আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটা সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। মেজর এমদাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সামনে বড় একটা চ্যালেঞ্জ আসবে। সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গার বিষয়টা কিভাবে হ্যান্ডেল করা যাবে আর আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মুখোমুখি যে অবস্থান সেটাকে কিভাবে সামাল দেয়া হবে। সবমিলে, বাংলাদেশকে খুব সাবধান এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি সামালানোর পরামর্শ এই বিশ্লেষকদের।