স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে নারীকে আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগ

ঢাকায় কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। অভিযুক্ত ব্যক্তি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার মিরুখালি ইউনিয়ান শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কামরুল ইসলাম মিলন তার পিতার নাম মজিবুর রহমান ফরাজী. অভিযোগকারী মোসাম্মা সোনিয়া আক্তার (৩৬)
ভুক্তভুগি দৈনিক প্রিয় টাইমসকে বলেন কামরুল ইসলাম মিলনের সাথে তিন বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয় উক্ত পরিচয়ের সুবাদে কামরুল ইসলামের সাথে কথাবার্তা হতো একপর্যায়ে কামরুল ইসলাম ক্লিনিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৫/১১/২০২৪ তারিখে রাত ৮:৩০ টায় ফোন করে দেখে পল্লবী থানা দিন সেকশন ১০ ব্লক- এ বেনারসি পল্লী হেলাল ডায়গনিক সেন্টারে ৩য় তলায় ডেন্টাল ক্রিসেন্ট এর ভিতরে নিয়ে আটকে রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন।
সোনিয়া আক্তার আরো বলেন আমি চিৎকার করার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়াতে অভিযুক্তের মামা মোহাম্মদ ইদ্রিস ১৯-১১-২০২৪ তারিখে আমাদের বিবাহ প্রদান করে পল্লবী থানা দিন সেকশন ১২ ব্লক ডি রোড ২১.বাসা ৩১ নিচ তলায় বর্ণিত বাসায় আমাকে নিয়ে সংসার করে এবং ফ্যামিলির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং ব্যবসার কথা বলে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে অতঃপর টাকার দাবি করেন পরবর্তীতে আমার ব্যাংক একাউন্টের টাকা থাকায় অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম আমাকে দুটি চেক বই জমা রেখে ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এবং টাকার বিষয়ে চাপ দিতে থাকায় কামরুলের মামার পরামর্শে আমাকে মারধর করে ডান পা ভেঙে দেয় এবং ফোন করিয়া গালাগালি সহ হুমকি প্রদান করেন এবং উক্ত ভাষায় আমাকে রেখে কামরুল ইসলাম মিলন গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে যায় এদিকে ভুক্তভোগী নারীর মামলা দায়ের খবর শুনে যাওয়াই কামরুল ইসলাম ফোন করে বিভিন্ন হুমকি ও দেখে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পল্লবী থানার ওসি বলেন মোছাম্মৎ সনিয়া আক্তার পল্লবী থানা একটি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন। আমি অভিযোগ গ্রহণ করিয়াছি । আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে