ফুলতলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের যত দুর্নীতি

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ফুলতলা মোহাম্মাদিয়া আলিম মাদ্রাসা নামের একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহ, সাংবাদিকদের হয়রানি ও অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ১৩ বছর ধরে ভুয়া বিলও ভাউচারে মাদ্রাসা ফান্ডের অর্থ হরিলুট করছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামে ওই মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ। হিসাব চাইলে দেওয়া হয় না হিসাব। ৫ জন কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করে নিজের আত্মীয় ও সভাপতির আপন ছোট ভাই ও তার চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী কে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেন।
অভিযোগ গুলোঃ
১। ২০২৩ সালের ০৭ জানুয়ারী মাদ্রাসায় ৫ টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় উক্ত ৫ টি পদে ৪৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে সভাপতি মাসুম বিশ্বাসের আপন ছোট ভাই ইমরান বিশ্বাস, নিরাপত্তা কর্মী পদে মোঃ স্বপন ও আয়া পদে সভাপতির আপন চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী,কম্পিউটার অপারেটর পদে বশির হোসেন কে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
২। ২০১০ সনে অধ্যাক্ষ পদে মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান এর নিয়োগ প্রক্রিয়াটি এ্যাডহক কমিটি দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।যা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা (গভার্ণিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৪১(২)/(খ)৪ আদেশ অনুযায়ী সম্পুর্ন অবৈধ। কেননা এই প্রবিধানে স্পষ্ট বলা রয়েছে যে এ্যাডহক কমিটি গভনিং বডির সকল কাজ সম্পাদন করতে পারবে কিন্তু "কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন না। এছারাও প্রবিধানমালায় আরো উল্লেখ রয়েছে যে,অতীব জরুরী কার্য্য সম্পাদন করার জন্য ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে দুটি রেজুলিউশন করা যাবে,কিন্ত সেই রেজুলিউশন বিধি না মেনে ৫ ঘন্টা এর ব্যাবধানে ২টি রেজুলিউশন করে এ্যাডহক কমিটি দ্বারা নিয়োগটি সম্পন্ন করা হয় । যার ফলে তার নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পুর্ন অবৈধ।
৩। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদ হাববিুর রহমান কে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কম্পউিটাররে মাধ্যমে তার রেজাল্ট ১.৩৩ থেকে গ্রেড পরর্বিতন করে ২.৫৮ এ উর্ত্তীন ও প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেন অধ্যাক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ।পরবর্তীতে হাববিুর রহমান পুলিশ নিয়োগ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তার সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন এর জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাঠালে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড উক্ত সার্টিফিকেট টি সঠিক নয় বলে জানান। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ বাদী হয়ে শিক্ষার্থীদ হাববিুর রহমান ও অধ্যাক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান কে আসামি করে একটি মামলা দ্বায়ের করেন।উক্ত মামলায় উভয়ের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করা হয়।
৪। এছারাও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তরি টাকা,সরকারী ল্যাপটপ, এবং প্রতি বছর ভিবিন্ন উন্নয়ন খাত থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করছেন তিনি। যাহার মামলা এখনো মোকামঃ বিজ্ঞ দায়রা জজ এবং বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত জজ আদালত,বরগুনা য় এখনো চলমান
মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে বেতাগী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।