ভুয়া নিয়োগে জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেন মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ

ভুয়া নিয়োগে জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেন মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ফুলতলা মোহাম্মাদিয়া আলিম মাদ্রাসার( EIIN: 100286) অধ্যাক্ষ পদে মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চাকুরী এমপিও ভুক্তি  ও সরকারী তহবিল থেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করে আসছেন।

২০১০ সনে অধ্যাক্ষ পদে মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান এর  নিয়োগ প্রক্রিয়াটি এ্যাডহক কমিটি দ্বারা  সম্পন্ন করা হয়।যা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা (গভার্ণিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৪১(২)/(খ)৪ আদেশ অনুযায়ী সম্পুর্ন অবৈধ। কেননা এই প্রবিধানে স্পষ্ট বলা রয়েছে যে এ্যাডহক কমিটি গভনিং বডির সকল কাজ সম্পাদন করতে পারবে কিন্তু "কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন না। এছারাও প্রবিধানমালায় আরো উল্লেখ রয়েছে যে,অতীব জরুরী কার্য্য সম্পাদন করার জন্য ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে দুটি রেজুলিউশন করা যাবে,কিন্ত সেই  রেজুলিউশন বিধি না মেনে ৫ ঘন্টা এর ব্যাবধানে ২টি  রেজুলিউশন করে এ্যাডহক কমিটি দ্বারা নিয়োগটি সম্পন্ন করা হয় । 

২০০৯ সালে অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা একে এম আব্দুস সত্তার মিয়া অবসর গ্রহনের পরে তার পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করতেন ওই মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মাওঃ মো. মনিরুল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।এবং এ্যাডহক কমিটি "এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।  নিয়োগ বোর্ড মাদ্রাসায়  নিয়োগ পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা না করে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবি এম গোলাম কবির মহোদয়ের  কক্ষে নিয়োগ পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা করেন। কিন্ত রেজুলিউশন এ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবি এম গোলাম কবির মহোদয়ের নাম ও কক্ষ উল্ল্যেখ থাকলেও তার কোন স্বাক্ষর উল্লেখ নাই।

এছারাও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তরি টাকা,সরকারী ল্যাপটপ,ও জাল জালয়িাতরি মাধ্যমে ছাত্র হাববিুর রহমান কে কম্পউিটাররে মাধ্যমে তার রজোল্ট ১.৩৩ থেকে গ্রেড পরর্বিতন করে ২.৫৮ এ উর্ত্তীন ও প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেন অধ্যাক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ।