বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিবাহিত নারী কর্মচারীর বাসায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার আটক

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মচারীর ফ্লাটে অবস্থানকালীন অবস্থায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে-কে পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের হোটেল তাজমহলের তৃতীয় তলার একটি ফ্লাটে তাকে পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ,রোববার ভোর ৬টা থেকে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক নারী কর্মচারী বরুণ কুমার দে-কে সঙ্গে করে তার রুমে নিয়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক ও বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে রুমের সামনে গেলে তা ভিতর থেকে আটকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাড়ির কেয়ারটেকার দরজায় বারবার নক করার পরও কোন সাড়া না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট নারী কর্মচারীকে কেয়ারটেকার মুঠোফোন জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তিনি জানান তিনি রুমেই আছেন। দরজা খুলতে বললে তিনি বলেন, তিনি তখন অফিসে আছেন। কেয়ারটেকার জিজ্ঞেস করলে রুমে কে আছে, উত্তরে তিনি বলেন, “আমার বোন রুমে আছে।”
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শাহাজাদা সাংবাদিককে ফোন করে বলেন, “ভাই, ওই রুমে আমাদের বরুণ স্যার আছেন। আপনি দয়া করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।” ফোনালাপের রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
কক্ষের ভিতর থেকে বরুণ কুমার দে তার এলাকার একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ১০ ব্যাচের মইনুল ইসলামকে এ বিষয় জানান,এবং মইনূল তখন সাংবাদিককে ভয় ভিতি দেখান, ময়নূল ফোন করে বলেন আপনি ওখানে গেছেন কেন।আপনি থাকেন আমি আসতেছি,আসলে চিনবেন।ময়নূল ঘটনা স্থানে আসার পর বরুণ নিজেই রুমের দরজা খুলে দেন। তখন উপস্থিতরা জানতে চান, একজন অবিবাহিত নারী কর্মচারীর কক্ষে তিনি কেন অবস্থান করছিলেন।
জবাবে বরুণ বলেন, “আমি টয়লেট করতে এসেছি।” তখন শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, আপনার দপ্তর কোনটা বরুন জানান তাপসি বসরি হলে,ঐ হলে কোন টয়লেট নাই? আর সেই ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টয়লেট করতেই ছিলেন? তিনি বলেন, “এই টয়লেটটা আমার পছন্দ, তাই এসেছি।”
ঘটনা ধামাচাপা দিতে মইনুল সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জরায় এবং তিনি বরুন নির্দোষ বলে জানান।ময়নূল বরুনের কি হয় এই বিষয় জানতে চাইলে বরুন বলে ময়নূল আমার আপন ভাই । কিন্তু উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বরুণ হিন্দু আর মইনুল মুসলিম—তাদের মধ্যে ভাইয়ের সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগের বিষয়ে ঐ নারী কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বরুণ স্যার আমার ছুটির আবেদনপত্র দিতে এসেছিল।” কিন্তু কেন অফিসের পরিবর্তে বাসায়, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার বাসায় শাহজাদা স্যারও মাঝে মাঝে আসেন।” এ বিষয়ে শাহজাদা বলেন, “আমি একবার পানির লাইন ঠিক করতে গিয়েছিলাম।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা জানান এমন চরিত্রের লোক যদি মেয়েদের হলের দায়িত্ব থাকে তাহলে হলের মেয়েরা নিরাপদ না।এই ঘটনার তদন্ত করে দোষী দের বিরুদ্ধে ব্যবাস্থা নেওয়ার জোর দাবি করেন শিক্ষার্থীরা