মৎস্য ভবনের দেয়ালে ইলিশের ফলকের দূরাবস্থা 

মৎস্য ভবনের দেয়ালে ইলিশের ফলকের দূরাবস্থা 

মল্লিক জামাল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্হ মৎস্য অধিদপ্তরের ভবনের দেওয়ালে জাতীয় মাছ ইলিশের ফলকের দূরাবস্থা 
রয়েছে। রাস্তায় চলাচল করা পথচারী, যাত্রী চালকসহ সকলের নজরে এসেছে বিষয়টি। তবে আসেনি কর্তৃপক্ষের নজরে। 
যদিও বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রতি সম্মান ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে তথাপি এখন দূরাবস্থা দেখে এটি মনে হয়না।
এই ফলকটি স্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য হলো,
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রতি শ্রদ্ধা,  সম্মান প্রদর্শন, গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্যই জাতীয় মাছ ইলিশের ফলক। তাছাড়া মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উৎসাহ, মৎস্য ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি , বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য এই ফলকটি স্থাপন করা হয়েছে। 

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইলিশ মাছের ফলক স্থাপনের উদ্দেশ্য হলো-ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ,ইলিশ মাছ এদেশের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, ইলিশের প্রাচুর্য রক্ষা এবং অবৈধ মৎস্য শিকার বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে এই ফলক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও এটি একটি দর্শনীয় স্থান, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা।
এই ফলকটি মৎস্য ভবন পরিদর্শনে আসা সকলের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয়, যা ইলিশ মাছের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। 
কিন্তু মৎস্য ভবনের দেওয়ালে ফলকটির বেহালবস্থা দেখে বিরূপ মন্তব্য করেছে অনেকই। বগুড়ার মো. আলী নামে এক রিকশা চালক বলেন, আমার জানামতে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় অফিস হচ্ছে এটা। এই অফিসের ফলকের যদি এ অবস্থা হয় বাকিগুলোর কি হবে।
পথচারী চাঁদপুরের শামীম জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ ও জাতীয় সম্পদ। মৎস্য ভবনের দেওয়ালে ইলিশের ফলকের এই দূরাবস্থা, এটা মেনে নেয়া যায় না। কর্তৃপক্ষ কি দেখে না।
এ বিষয়ে জানতে মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে ফোন করলে সে রিসিভ করেননি।