বরগুনা শহরে ভেজালবিরোধী অভিযানে জরিমানা কারাদণ্ড

বরগুনা শহরে ভেজালবিরোধী অভিযানে জরিমানা কারাদণ্ড

বরগুনা প্রতিনিধি: খাদ্যে ভেজাল দিয়ে রঙবেরঙের আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে শিশু খাদ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব খাদ্য অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্করাও গ্রহণ করে থাকেন। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ক্যান্সারসহ মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে পারে।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের বিভিন্ন খাদ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল আলম এর নির্দেশনায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালিত হয়।

জানা যায়, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী দুইজনকে কারাদণ্ড এবং ৩৯ ধারা অনুযায়ী একজনকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: বাঁশবুনিয়া এলাকার মাহিন ফুডস-এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস এবং মোল্লা ফুডস প্রোডাক্টস-এর স্বত্বাধিকারী মনজুর আলম মোল্লা।

অপরদিকে, মালাকার সুইটস-এর স্বত্বাধিকারী সুব্রত মালাকারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় লাকুরতলার অনিল স্টোরের মালিক অনিল চন্দ্র পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করেন আদালত।

এছাড়াও, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মেসার্স খাইরুল স্টোর থেকে শিশুদের জন্য বিপজ্জনক ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। একইসাথে নামবিহীন আরও কয়েকটি দোকান থেকেও ক্ষতিকর বিস্কিট উদ্ধার করে তা নষ্ট করা হয়।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিচালিত এই মোবাইল কোর্টের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন—বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন।

এই অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বরগুনা কন্টিনজেন্টের সাব-লেফটেন্যান্ট সাকিলের নেতৃত্বে একটি টিম, বরগুনা সদর থানা ও ডিবি পুলিশের সদস্যবৃন্দ এবং পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিল।