জীবিত আছেন ইলিয়াস আলী! যা জানালেন বিএনপি নেতা

জীবিত আছেন ইলিয়াস আলী! যা জানালেন বিএনপি নেতা

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক অভিযোগ করেছেন যে, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীকে শেখ হাসিনা সরকার গুম করেছে। তার মতে, ইলিয়াস আলী তাদের জন্য “এক আতঙ্ক” ছিলেন এবং সম্ভবত তাকে ভারতের কোনো কারাগারে রাখা হয়েছে।

 এম এ মালেক বিশ্বাস করেন, একদিন ইলিয়াস আলী জনতার মাঝে ফিরে আসবেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে দক্ষিণ সুরমায় নিজ বাড়িতে বালাগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আরও পড়ুনঃ ইউনূস সরকারের ছুটির ঘণ্টা বাজছে : রনি এম এ মালেক জানান, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আমাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিল।

সেই দাওয়াত প্রত্যাখান করে আমি তাকে (শেখ হাসিনা) শর্ত দিয়েছিলাম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর “ফ্যাসিস্ট হাসিনা” এদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেননি, যার কারণে তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এম এ মালেক সিলেটের বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, তারা সব সময় “ফ্যাসিস্ট সরকারের” বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং হামলা-মামলা করেও তাদের দমানো যায়নি।

 আরও পড়ুনঃ ‘আ.লীগ কখনই শোধরাবে না, সুযোগ পেলে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে’ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসার কথা উল্লেখ করে জানান, যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন দেশের স্বার্থে তিনি বছরের পর বছর প্রতি সোম ও বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে আন্দোলন করেছেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন—যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা জসীম, সিলেট জেলা কৃষক দলের নেতা নান্নু, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন, বিএনপি নেতা নজমুল ইসলাম, বালাগঞ্জ বিএনপির নেতা সোহেল আহমেদ বকুল, উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, বালাগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হোসেন, বালাগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, বালাগঞ্জ থানার সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি রাজু আহমেদ, বালাগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মুকিদ, বোয়ালজুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি শাহীন আহমেদ বাবলা প্রমুখ।

 আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর পর দেশের মাটিতেই ঠাঁই চান শেখ হাসিনা, যা জানা গেল উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ইলিয়াস আলী। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে ‘গুম’ করেছে।