গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, শ্রমিক দল-ছাত্রদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, শ্রমিক দল-ছাত্রদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে সংঘবদ্ধ গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় শ্রমিক দল নেতাসহ কলেজ ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

 আলাদা দুটি সাংগঠনিক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল এবং শ্রমিক দল। বহিষ্কৃতরা হলেন- তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল এবং যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন সজীব ও উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, ঘটনার পরপরই তজুমদ্দিনের অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। আরও পড়ুনঃ গ্রামীণ ব্যাংকের পদ ছাড়তে চায় না, রাষ্ট্রের পদ ছাড়বে কিভাবে : বিএনপি নেত্রী নিলুফা এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছে তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দল।

 তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের উপস্থিতিতে এ বহিষ্কারাদেশ পাঠ করে শোনানো হয়। এদিকে মঙ্গলবার ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মামলা হয়েছে আমরা ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

এর সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। আরও পড়ুনঃ জানা গেল যে কারণে আরেক নতুন বিপাকে হাসিনা-জয় উল্লেখ্য, গেল ২৯ জুন তজুমদ্দিন মাওলানা কান্দি কামারপট্টি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করে তার বড় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ওঠে।

পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। গত রোববার সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে উল্লেখ করে ওই মামলায় শ্রমিক দল, যুবদল ও কলেজ ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।