আশা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় যেতে হবে না : এনবিআর চেয়ারম্যান

আশা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় যেতে হবে না : এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সব ভুলে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে তাদের নিজ নিজ দায়িত্বে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।

সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় যেতে হবে না। সবাই অতীতের মতো দক্ষতা নিয়ে কাজ করবে এটাই আমার আহ্বান। এ সময় তিনি বলেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের তুলনায় এই বছর গ্রোথ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিনে রাজস্ব আরও কিছু যোগ হবে। ফাইনাল ফিগার পেতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে। তবে আমরা নিশ্চিত গত বছরের তুলনায় গ্রোথ হবে।

একই সঙ্গে গত কয়েকদিনের আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায় কিছুটা হোঁচট খেয়েছে বলে জানান। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে সরকার শুরুতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নিয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

 যদিও পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়। সেই বিবেচনায় কেবল এনবিআর এর রাজস্ব ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে, যা রেকর্ড। গত ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 এরপর থেকেই এনবিআর বিলুপ্তি প্রতিরোধসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আন্দোলনে নামেন। গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হলে তারা আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।

তবে ২২ জুন থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার দেশব্যাপী এনবিআরের কর, মূসক ও শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেন।