কেন পোকরোভস্ক দখলে নিতে মরিয়া রাশিয়া, লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন

পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলে নিতে এর আশপাশে এক লাখ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৮ জুন) ইউক্রেনের সামরিক প্রধান ওলেক্সান্দ্র সিরস্কি এমনটি জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘সম্পূর্ণ ফ্রন্টলাইনের সবচেয়ে উত্তপ্ত এলাকা” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এক হাজার ২০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত যুদ্ধরেখায় এখন সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে এই অঞ্চল ঘিরেই। পোকরোভস্ক একটি ছোট শহর হলেও এটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক জায়গা। কারণ এটি একটি প্রধান সরবরাহ রুট ও রেলপথের ওপর অবস্থিত, যেটি কিয়েভনিয়ন্ত্রিত অন্যান্য সামরিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত।
খবর সিএনএনের। আরও পড়ুনঃ যে কারণে উত্তর-পশ্চিমে একাধিক মিসাইল ছুড়ল উত্তর কোরিয়া শহরটি কোস্তিয়ান্তিনিভকা, ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্কের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষার ভিত্তি তৈরি করে, বিশেষ করে দোনেৎস্ক অঞ্চলে। এ কারণেই শহরটি রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য, বিশেষ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন পূর্ব ইউক্রেনের পুরো দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক দখলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত এক বছর রাশিয়া একের পর এক তীব্র হামলা চালালেও এখনো পোকরোভস্কের পতন ঘটাতে পারেনি। সংখ্যায় ও সরঞ্জামে রাশিয়া এগিয়ে থাকলেও ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ ভাঙা যাচ্ছে না। আরও পড়ুনঃ ‘৪০ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে’ কিয়েভ ও এর মিত্রদের দাবি, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি আলোচনায় বিলম্ব করছেন যেন তার বাহিনী আরও ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করতে পারে। যুদ্ধ শুরুর আগে পোকরোভস্কে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর তিন বছরে শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা নিজ ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। আরও পড়ুনঃ ‘এক কলেই থামবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ’ চলমান আগ্রাসনের মধ্যেই ২৪ জুন দিনিপ্রো শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ধ্বংস হয় এবং বহু মানুষ হতাহত হন। এই সময়েই ইউক্রেনের মিত্ররা ন্যাটোর একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে কিয়েভকে নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়।