প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় যেভাবে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ এবং তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া, ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ যুবদল নেতার চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় কর্মীকে মারধর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফজর আলী (ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত) এবং ভিডিও ধারণকারী অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারীকে পাঁচকিত্তা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ ৬ মাসের মধ্যে আরেকটি নির্বাচনের সমঝোতা হয়েছিল আ.লীগ-বিএনপি-জামায়াতের পরে স্থানীয়দের কাছে মারধরের শিকার হয়ে ফজর আলী পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আরও পড়ুনঃ ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হলো
শিক্ষার্থীকে জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, মূল আসামি ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়ানোয় জড়িত চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।