১২ দিনের সংঘাতে যতজন বিজ্ঞানীকে হারালো ইরান

গত ১৩ জুন আকস্মিক এক হামলার জেরে ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ এক সংঘাতে জড়াতে বাধ্য হয় ইরান, যেখানে একটা পর্যায়ে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রও।
টানা ১২ দিন সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছে গতকাল (২৪ জুন)। এই ১২ দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরান। দুই ডজনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারাতে হয়েছে দেশটিকে। আরও পড়ুনঃ হঠাৎ করে যেকারণে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন নেতানিয়াহু তেল আবিবের দাবি অনুযায়ী, গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা অভিযানে ১৪ জন বিজ্ঞানীকে হারিয়েছে ইরান।
বুধবার (২৫ জুন) বার্তাসংস্থা এপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকার উদ্ধৃতি দিয়ে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে আক্রমণের সময় কমপক্ষে ১৪ জন ইরানি বিজ্ঞানীকে টার্গেট করে হত্যা করেছে ইসরায়েল, যার মধ্যে রয়েছে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলীও।
আরও পড়ুনঃ নেতানিয়াহুর কারণে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়িয়েছে: জাতিসংঘে ইরানের অভিযোগ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের ফলে ইসরায়েলি এবং মার্কিন বোমা হামলায় বেঁচে থাকা যেকোনো পারমাণবিক অবকাঠামো এবং উপকরণ থেকে ইরানের অস্ত্র তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এপি জানিয়েছে, জারকা সোমবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
যুদ্ধবিরতির আগে সবশেষ গত মঙ্গলবার ইরানের টেলিভিশন ইসরায়েলি হামলায় আরেক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবেরের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। এর আগে, ১৩ জুনের আক্রমণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
তবে ওই দিন তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে নিহত হয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায়। আরও পড়ুনঃ জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও ইরানে আরও এমন অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন যারা ইসরায়েল কিংবা ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হতে পারেন যেকোনো সময়।