ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের কাছে মালয়েশিয়ার আহ্বান

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যখন অন্য দেশের ওপর হামলা চালায় এবং নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, তখন প্রতিক্রিয়া আসা স্বাভাবিক। আমাদের অবস্থান ন্যায়ের পক্ষে।
খবর আলজাজিরার তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় এখনো নারী-শিশুদের হত্যাকাণ্ড চলছে। এর মধ্যে ইসরায়েল এখন ইরানকে আক্রমণ করছে এবং ইরান পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাইরের শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে।’
আনোয়ার প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি ইরানকে প্রতিক্রিয়া জানাতে না দেওয়া হয়, তবে কেন ইসরায়েলকে বারবার এমন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে?’ আরও পড়ুনঃ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে ১০ দেশের প্রতিক্রিয়া এ সময় তিনি গাজার চলমান পরিস্থিতি এবং ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানান।
এর আগে আঙ্কারায় ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাজি হাসান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দফায় দফায় হামলা চলছে।
এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা — ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে হামলা চালায়। আরও পড়ুনঃ এবার আল আকসায় হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের? হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্বেই সমন্বয় ছিল। ইসরায়েলি বিমান ও মিসাইল ইউনিটও ইরানে পৃথকভাবে হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বাংকার লক্ষ্য করে বাংকার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পরমাণু সংস্থা। ফোরদো থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, হামলার পর ওইসব স্থাপনা থেকে আশপাশে বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি বলে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ তাকে বেঁচে থাকতে দেওয়া উচিত নয় কাকে এ হুমকি দিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী? এদিকে চীন ও রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ হিসাবে অভিহিত করেছে ও জাতিসংঘে স্থায়ী শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত, সৌদি আরব—সবাই বরাবরের মতো কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে আছে ।
মেক্সিকো, চিলি, কিউবা ও ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিরোধিতা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, এটি ভয়াবহ ও বিপজ্জনক একটি উত্তেজনা। সামরিক সমাধান নেই, কেবল কূটনৈতিক পথই উত্তরণের উপায়