উপদেষ্টাকে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত : জবি শিক্ষার্থী

উপদেষ্টাকে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত : জবি শিক্ষার্থী

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুড়ে মারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হুসাইন বলেছেন, ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোতল ছুড়ে মারি নাই। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ইশতিয়াক হুসাইন জবির অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বলে জানা গেছে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, গতকালের (বুধবারের) ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোতল ছুড়ে মারি নাই। বোতলটি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করি। কাউকে আহত বা অপমান করার জন্য কাজটি করি নাই। তিনি বলেন, আমার নামে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমি শিবির কিংবা ছাত্রলীগ, কোনো ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত নই। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় পুলিশ আমাকে পেটায়। সেখানে আজকে আমাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজের খরচ চালানোর জন্য টিউশন, পার্ট টাইম জব করি।

এছাড়াও পড়াশোনায় আমার অনেক সময় চলে যায়। আমার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দলে সময় দেওয়া সম্ভব না। তিনি জানান, বুধবারের ঘটনার পর আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা ক্যাম্পাসের আসে পাশেই থাকে বলে জানাচ্ছে। ক্যাম্পাসে গেলে মব দিয়ে আমাকে হেনস্থা করার হুমকি দিচ্ছে অনেকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

 রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে। উপদেষ্টা মাহফুজকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।

তারা এ ঘটনাকে ‘নিকৃষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন। পরে প্রেস বিফ্রিংয়ে মাহফুজ বলেন, তাদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি যে হিংসা আট মাস ধরে রয়েছে এবং তাদের যে হিংস্রতা অনলাইনে দেখা যায়, তারা আজকে এখানে এটা করেছেন। তবে রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন দাবি করেন, বোতল নিক্ষেপের ঘটনার সঙ্গে জবির সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কোনোভাবেই দায়ী নন।