মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সেই ভাইরাল ভিডিওর ঘটনায় ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর অংশে সংঘটিত এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সূত্র ধরে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ অভিযানে নেমে ৫ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন এলাকার বাসিন্দা মো. রবিউল আলম তার অসুস্থ প্রতিবেশীকে চিকিৎসার জন্য নিজের গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে তারা শ্রীনগর থানার ছনবাড়ি মোড় এলাকায় পৌঁছালে, যানজট এড়াতে তারা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে চলতে থাকেন।
সেখানে ষোলঘর এলাকার কাছে তারা দেখতে পান রাস্তার উপর ছনের আটি দিয়ে তৈরি একটি ব্যারিকেড। গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ৬ জন ডাকাত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে গাড়ির দিকে ছুটে আসে এবং আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে চালকের দ্রুত বুদ্ধিমত্তায় গাড়িটি পেছনে চালিয়ে নিরাপদে সরে যায়। ডাকাতরা ধাওয়া করে এবং একজন তাদের অস্ত্র গাড়ির দিকে ছুঁড়ে মারলেও গাড়িটি রক্ষা পায়। গাড়ির সামনের ক্যামেরায় সম্পূর্ণ ঘটনাটি রেকর্ড হয় এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার পর মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল অভিযান শুরু করে। টানা অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার (৬ মে) থেকে ৭ মে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্ত ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এবং ঘটনার সময়কার পোষাকও উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দলের নেতা মো. কামাল ওরফে সিএনজি কামাল (৪০) গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও একই এলাকায় ডাকাতি করেছিল। সে সময় তারা ভিকটিমের স্বর্ণালংকার, টাকা এবং একটি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত ৩৯৫/৩৯৭ ধারার একটি মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পলাতক অন্যান্য ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।