মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিকে ৫০ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা

মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিকে ৫০ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি মসজিদে নামাজ পড়তে আসা এক মুসল্লিকে হত্যা করে পালিয়েছে এক যুবক। কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনাকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু ‘ইসলামবিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছেন।

ফ্রান্সের সাবেক খনির শহর গার্ড অঞ্চলের লা গ্র্যান্ড-কম্বে মসজিদে শুধু ওই দুজন ব্যক্তিই ছিল। শুক্রবার এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আগত মুসল্লিকে ছুরিকাঘাতের পর হামলাকারী তার ফোনে ভিডিও ধারণ করে পালিয়ে যায়। তার বয়স ২০ বছর। এ ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউজ সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলকারী একজন অমুসলিম ব্যক্তি। তিনি ফ্রান্সের নাগরিক এবং বসনিয়ান অঞ্চলে বসবাস করেন। হামলকারী ব্যক্তি ওই মুসল্লির পাশেই নামাজ পড়ছিল।

এক পর্যায়ে সে মুসল্লি ব্যক্তিকে ৫০ বার ছুরিকাঘাত করে মসজিদ থেকে পালিয়ে যায়। পরে শুক্রবার সকালে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। হামলারকারীর নাম ওলিভিয়ার। ২০০৪ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেকার। যদিও পূর্বে তার বিরুদ্ধে কোনো অপরামূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড নেই। তারপরও আঞ্চলিক প্রসিকিউটর আব্দেলকরিম গ্রিনি বলেন, পরবর্তীতে দুর্ঘটনা রোধে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা উচিত। এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদ।

এতে বলা হয়েছে, ওই মুসল্লি মসজিদ পরিষ্কারের কাজ শেষ করার পরই তাকে হত্যা করা হয়। কী কারণে ওই মুসল্লিকে হত্যা করা হয়েছে তার কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে গ্র্যান্ড মসজিদ। এছাড়া বিষয়টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা তার জন্য বিচারক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো রোববার (২৭ এপ্রিল) এক্স পোস্টে বলেন, ধর্মের ক্ষেত্রে বর্ণবাদ এবং ঘৃণার কোনো স্থান ফ্রান্সে নেই। ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা যাবে না।

 মুসলিম নাগরিকদের ওপর আমাদের সমর্থন প্রসারিত করতে হবে। ফ্রান্সের বিচার মন্ত্রী জেরাল্ড ডার্মানিন শনিবার এ ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, ঘটনাটি ফ্রান্সের সকল মুসলিমকে ব্যথিত করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিহত পরিবার এবং মুসল্লিদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে এবং শাস্তির আওতায় আনতে কাজ করা হচ্ছে।