প্রকাশ্যে ঘুরছেন ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আওয়ামীলীগ নেত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ

প্রকাশ্যে ঘুরছেন ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আওয়ামীলীগ নেত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানাধীন নতুন বাজার এলাকায় আল-আমিন হত্যা মামলার আসামী বরিশাল সদর ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ,আওয়ামীলীগ নেত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্র জনতা ও নিহতের পরিবার।

আল-আমিন হত্যার ঘটনায় গত ১লা ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেবুন্নেছা আফরোজসহ ১৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন নিহত আল-আমিনের চাচা রহমান মাল।যার মামলা নং-৬৯৫। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভাটারা থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ প্রদান করেন। আদালত থেকে মামলাটি থানায় পৌছলে ভাটার থানার ওসি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। (যার এফ আই আর নং-৩২(১২) /২৪)।

এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, জাতীয় পার্টির শীর্ষসারির নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়। মামলার এজাহার ভুক্ত ১৬৮ নং আসামী হওয়া সত্ত্বেও জেবুন্নেছা আফরোজ গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।আল আমিন হত্যা মামলায় ১৬৮ নং আসামী করা হয়েছে জেবুন্নেছা আফরোজকে।


একটি হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী হওয়া সত্ত্বেও জেবুন্নেছা আফরোজ খোজ মেজাজে পুলিশের সামনে ঘোরাফেরা করা,ফুরফুরে মেজাজে প্রকাশ্যে চলাফেরা করায় মামলার বাদী ও ছাত্র জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ২৪ এর স্বাধীনতা কামী ছাত্র-জনতা ও তার নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও এই মামলায় তাকে আসামী করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে তারা। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জেবুন্নেছা আফরোজ দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে এবং রাজনৈতিক ব্যানারে বহুমুখী অপকর্ম করেছেন।পাল্টিয়েছেন একাধিক নেতাও। স্বামীর মৃত্যুর পরে প্রথমে সে আমু’র নাম ভাঙিয়ে চললেও পরর্তীতে পলক,নানক,হাসান মাহমুদসহ অসংখ্য আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের পাশে থেকে সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, আদালতের আদেশে মামলাটি এফ আই আর হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। শীগ্রই প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী রাব্বি জানান,ফ্যাসিস্ট জেবুন্নেছা আফরোজ একটি হত্যা মামলার আসামী হয়েও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে এটা চিন্তার বিষয়। তিনি বলেন, অদৃশ্য ইশারায় নাকি পুলিশের গাফেলতা জানা নেই। রাব্বি জানান,তাকে গ্রেপ্তার না করা হলে শিঘ্রই গ্রেপ্তার দাবীতে আন্দোলন করবো।