ঢাবি ছাত্রলীগের ১২৮ জন বহিষ্কার: সাদিক কায়েমের অসন্তোষ

ঢাবি ছাত্রলীগের ১২৮ জন বহিষ্কার: সাদিক কায়েমের অসন্তোষ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বহিষ্কারাদেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাত্র ১২৮ জনের বহিষ্কারাদেশ আমাদের সঙ্গে তামাশার সমতুল্য।

মঙ্গলবার নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন সাদিক। পাঠকদের জন্য সাদিক কায়েম পুরো স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৪ জুলাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ‘তুমি কে আমি কে— রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত করে৷ গত ১৬ বছরের জুলুম-নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার ট্যাগিং এর কল্পিত ন্যারেটিভকে এভাবে ভেঙ্গে দেওয়ায় ফ্যাসিস্টরা বরদাস্ত করতে পারেনি। ১৫ জুলাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট, সাত কলেজ, মেডিকেল কলেজসহ আশপাশের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রামের শেষের দিকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নিরস্ত্র ভাই-বোনদের ওপর পৈশাচিক হামলা চালায়। সেদিন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 বোনদেরকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল নির্মমভাবে। এই ন্যক্কারজনক হামলার স্থিরচিত্রগুলো দেখলে এখনো আঁতকে উঠি। রেজিস্ট্রার ভবনে সমন্বয়কসহ কিছু শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা করি। তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক Md Mohiuddin Khan আর আমি তাৎক্ষণিক ছুটে যাই ঢাকা মেডিকেলে। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য ইনিশিয়েটিভ নেই। তারই মধ্যে হাসপাতালে ঢুকে আবারো আহতদের হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ! এই দিনগুলো এখনো চোখের সামনে জীবন্ত। মাত্র ১২৮ জনের বহিষ্কারাদেশ আমাদের সঙ্গে তামাশার সমতুল্য। আমরা প্রত্যেক হামলাকারীকে চিহ্নিত করে প্রমাণসমেত প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করি—যার সংখ্যা প্রায় পাঁচশত। আমাদের ধারণা হামলাকারী ও শিক্ষার্থী নির্যাতনকারীদের প্রকৃত সংখ্যা সহস্রাধিকের আশপাশে হবে। এজন্য আমরা এই তদন্ত রিপোর্ট ও গৃহীত পদক্ষেপে মোটেও সন্তুষ্ট নই। যেখানে ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকত পার পেয়ে যায় সেখানে আর কোনো বিশ্বস্ততা থাকতে পারে না। স্বল্পসময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।