স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্তের পরিবারকে জানিয়েও রেহাই পেলো না কুমকুম

পটুয়াখালীর বাউফলে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক কিশোরী। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার শৌলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কিশোরীর নাম নাজনিন জাহান কুমকুম। এদিন রাত ১২ টার দিক পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠায়। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্কুলে যাওয়া-আসার পথে একই স্কুলের রিয়াদুল ইসলাম তাওসিন (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী তাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি তার পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্তের পরিবারকে জানালেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মৃত্যুর দিন বিকেলে এক সহপাঠীর সঙ্গে তোলা তার একটি ছবি তাওসিন ফেসবুকে পোস্ট করে এবং বাজে মন্তব্য লেখে।
মেয়েটি এ ঘটনা অপমান ও লজ্জাজনক মনে করে নিজ কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে তাওসিন ও তার পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিহত ছাত্রীর বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে চিরকুটে ঐ ছেলেকে দায়ী করেছে। আমরা এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাকে ঘটনাটি আত্মহত্যার আগের দিন জানানো হয়। এরপর অভিযুক্ত ও তার পরিবারকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবার। তবুও এ বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।