এমপির সাথে প্রতারনা করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ

এমপির সাথে প্রতারনা করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ

বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনের এমপি  সুলতানা নাদিরা স্বাক্ষর জাল করে ফুলতলা মোহাম্মাদিয়া আলিম মাদ্রাসার গর্ভণিং বডির সভাপতি বানানোর অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের ফুলতলা মোহাম্মাদিয়া আলিম মাদ্রাসার  কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিয়ম অনুযায়ি মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি নির্বাচিত করতে প্রথমে বিদ্যুৎসায়ী সদস্য একজন, অভিভাবক সদস্য পাঁচজন, শিক্ষক প্রতিনিধি তিনজন এবং পদাধিকারবলে একজন সুপার নির্বাচিত হবেন। এসব পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত করার বিধান রয়েছে। সদস্য নির্বাচিত হলে তাদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন।

কিন্তু এসব কিছুই না করে মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ অধ্যাক্ষ মোস্তাফিজ এমপি  সুলতানা নাদিরার কাছে একটি ভুয়া রেজিলুশন প্রদান করেন। যেহেতু পুর্বে এই মাদ্রাসা সম্পর্কে এমপি সাহেব অবগত নন সেহেতু বলেন এলাকার কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে আলোচনা করে একজন আদর্শবাদ সভাপতি বাছাই করতে।

কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ অধ্যাক্ষ মোস্তাফিজ এমপি সাহেবের নির্দেশনাকে সম্পন্য অবজ্ঞা করে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময় একটি ফেইক রেজুলিউশন তৈরি করে পরবর্তী সময়ে ঢাকায় অবস্থানরত মাসুম বিশ্বাস নামের আরেক দুর্নীতিবাজকে সভাপতি করার জন্য প্রস্তাব নিয়ে যান।

পরেরদিন মাদ্রাসার কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এমপি সাহেবকে অবহিত করেন।

এ বিষয় এমপি সুলতানা নাদিরার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, পুর্বে আমি এই মাদ্রাসা সম্পর্কে তেমন একটা অবগত ছিলাম না, পরে আমি খোজ নিয়ে এই মোস্তাফিজের কারসাজির সত্যতা পাই। এবং এ বিষয় আমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বরাবর একটি তদন্তের আবেদন করেছি।