সার্ভের নামে বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য ভারতে পাচার করছে ফোরপি কোম্পানি

সার্ভের নামে বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য ভারতে পাচার করছে ফোরপি কোম্পানি

মোঃ জাকারিয়া: প্রথম পর্বে আমরা আপনাদেরকে অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী জানিয়েছিলাম যে ফোর পি (4p) একটি ভুয়া কোম্পানি। কিন্তু অনুসন্ধানের যতই গভীরে যাই  ততই অবাক হতে থাকি এই  ভুয়া কোম্পানির প্রতারণা অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখে।ভুয়া এ কোম্পানিটির মালিক চন্দন কুমার পাল বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিলেন একজন গ্রাম্য বাউল গান করতেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে একপর্যায়ে চলে আসেন ঢাকায়। শুরু করেন ফার্মেসি ব্যবসা ধানমন্ডিতে কাজ শুরু করেন ঔষধ বিক্রির।

ধাপে,ধাপে গড়ে তুলেন এই ভুয়া কোম্পানি যার মাধ্যমে রিপোর্টের নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি, কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করছেন সারাদেশে হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সুবিধা নিতে আসা সকল রোগীদের। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ প্রতারনা করে যাচ্ছে এই কোম্পানিটি লোকচক্ষুর আড়ালে প্রসাশনের সামনে। অবৈধ ঐ টাকা দিয়ে করেছেন বিলাস বহুল বাড়ি, আলিশান ফ্লাট, কোটি টাকার গাড়ি নামে বেনামে গড়েছেন বিভিন্ন সম্পত্তি।

গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে কয়েক একর সম্পত্তি। সাধারণ মানুষদের সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানিদের সাথে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রতারনা করে যাচ্ছে প্রতারক চক্র।  চন্দন কুমার পাল এমডি  অভিজিৎ হিসার রক্ষন একজন মহিলা রয়েছেন যিনি এ ভুয়া কোম্পানির মাঠ কর্মীদের ব্যবহৃত  অ্যাপসের নিয়ন্ত্রণ করেন। এক্সিকিউটিভ হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ যিনি সারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয় আইডি কার্ড সংগ্রহ করে থাকে চাকরি প্রত্যাশী বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে ।

অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারলাম এখানে নিয়োগে কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় না। যারা চাকরি করে  তাদের কোন নিদিষ্ট বেতন নেই টিএ,ডিএ নেই কিন্তু তারপর চাকুরি করে কিভাবে এখানেই প্রশ্ন? একটি চক্রের মাধ্যমে যার প্রধান  মোঃ ইউসুফ চাকরি প্রত্যাশী তরুণ বেকারদের ন্যাশনাল আইডি কাড সংগ্রহ করে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু আইডি কার্ড সংগ্রহ করে কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়? পরবর্তীতে জানা যায়  সংগ্রহকৃত আইডি কার্ডগুলো বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় এমনকি দেশের বাইরেও পাচার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আর এই আইডি কার্ড  বা বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য  পাচারের মূল হোতা চন্দন কুমার পাল আর এ কাজে  তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে  এক্সিকিউটিভ ইউসুফ। 

আগামী পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য কিভাবে পাচার করা হচ্ছে এই ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে।