ছাত্রদলের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা, ১১ জনের পদত্যাগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী সরকারি কলেজে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রদল। ঘোষণার একদিন পর আজ রবিবার কলেজের কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষিত কমিটির ১১ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা নেতাদের অভিযোগ, প্রকৃত ত্যাগী জাতীয়তাবাদী চেতনার একনিষ্ঠ কর্মীদের ঘোষিত কমিটিতে রাখা হয়নি। যাদের রাখা হয়েছে তাদেরও যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহযোগী ও অছাত্রদের স্থান দেওয়া হয়েছে কমিটিতে।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন, নতুন কমিটির বোয়ালমারী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. শামীম, মোহাম্মদ ইউসুফ শেখ, জোবায়ের হোসেন, রিভা খাতুন, শাহ জালাল, তৈয়েবুর মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসা খানম, আখিঁ আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সায়মা, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার, সংস্কৃতি সম্পাদক শাকিল মোল্লা। গতকাল শনিবার বোয়ালমারী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস। পাপ্পু বিশ্বাস নাঈমকে সভাপতি ও সম্রাট মোল্যাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৮ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ২১ দিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে জেলা ছাত্রদলের দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পদত্যাগ নেতাদের দাবি, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার আমলে যারা জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাদের অবমূল্যায়ন করে অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে পকেট কমিটি করা হয়েছে বলে জানান। বিগত দিনে যারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুবিধা ভোগ করেছে।
সেই সাথে ৫ আগস্টের পরে তারা বিএনপির চেতনায় ফিরে এসে উৎকোচের মাধ্যমে কমিটির বড় বড় পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন। এ কমিটিতেও তার কোনো ব্যত্বয় ঘটেনি। আমারা চাই এই পকেট কমিটি বিলুপ্ত করে আবার নতুন কমিটি ঘোষণা করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হোক। তারা অভিযোগ করেন, এই কমিটিতে পাপ্পু বিশ্বাসকে সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বোয়ালমারী সরকারি কলেজের নিয়মিত ছাত্র না। সাধারণ সম্পাদক দেওয়া হয় মো. সম্রাট মোল্লাকে। তিনি এর আগে কোনো রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। নতুন এসেই উৎকোচের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন বলে জানান পদত্যাগ নেতাকর্মী। ছাত্রদলের মতো আদর্শিক সংগঠনের একটি ইউনিট কমিটিতে সুবিধা ভোগীদের, অছাত্র আর ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী থাকলে সেখানে অন্তত আদর্শের রাজনীতি হতে পারে না।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অনেকে পদ প্রত্যাশিত থাকে, হয়তোবা তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী পদ না পেয়ে এ অভিযোগ করছে। তার পরেও যদি এই কমিটিতে কোনো অনুপ্রবেশকারী থাকে তাহলে তাদের বিষয়ে গভীরভাবে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।