আমি পদত্যাগ করতে রাজি

ইউক্রেনের শান্তি কিংবা সামরিক জোট ন্যাটোতে দেশটির যোগদানের জন্য দরকার হলে প্রেসিডেন্ট পদও ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ রোববার এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় জেলেনস্কিকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে কী নিশ্চয়তা চান তিনি? আর শান্তির জন্য যদি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাঁকে সরে যেতে বলা হয়, তাহলে তিনি কি তা করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘হ্যা, আমি এতে খুশিই থাকব। যদি এটা ইউক্রেনের শান্তি বয়ে আনে, তাহলে আমি খুশি মনেই মেনে নেব।’ ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনি যদি চান আমি চেয়ার ছেড়ে দিই, তবে আমি এটি করতে প্রস্তুত। এটি আমি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার বিনিময়েও করতে রাজি।’ এই মুহূর্তে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি ভাবছেন বলে জানান জেলেনস্কি। আলাপের শুরুতেই ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকের ব্যাপারে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইউরোপের নেতারাও নিরাপত্তা নিয়েই আগামীকাল সোমবার কথা বলবেন।
তারা বছরের পর বছর ধরে কথা বলবেন না। তারা কথা বলবেন কয়েক সপ্তাহ। ইউরোপের মতো আমেরিকারও সহায়তা দরকার ইউক্রেনের। এদিকে, এক রাতেই ইউক্রেনে আড়াই শতাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিন বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ ড্রোন হামলার ঘটনা। আজ রোববার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে এই হামলা হলো।
রাশিয়ার ভয়াবহ এই হামলার ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতি বলেছেন, ‘প্রতিদিন আমাদের জনগণ আকাশপথে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে। পূর্ণ-পরিসরে যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকীর প্রাক্কালে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ২৬৭টি আক্রমণাত্মক ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে। ইরানি ড্রোন ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে আঘাত হানা শুরু করার পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।