যারা হকের পথে থাকবে তাদের বিপদ আসবেই: ডা. শেখ মহিউদ্দিন

আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘যারা হকের পথে থাকবে তাদের বিপদ আসবেই। সুতরাং বিপদ আসবে এ কথা মেনে নিয়েই হকের পথে থাকতে হবে। আমাদের সবর করতে হবে এবং নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। আমরা মানুষকে শুনানোর জন্য নয় বরং নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নের জন্য কুরআন তিলোওয়াত করবো।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১০ টার দিকে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের জীবনকে পাল্টাতে না পারি তাহলে মানুষের মাঝে কুরআনের কথা বলতে পারবো না। তাই কুরআন অনুযায়ী নিজেদেরকে পাল্টাতে হবে। আমরা যদি কুরআনকে ধারণ করি তাহলে পুরো পৃথিবীকে পাল্টাতে পারবো।
’ বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. তাহির আহমেদ, প্রফেসর ড. এএইচএম ইয়াহিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন, বিভাগের ১ম ব্যাচের ছাত্র অ্যালামনাই নাজমুল হক সাইদী, ডাঃ শফিকুর রহমান পাটওয়ারি ও বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা মুফতি মোঃ আমির হামজা প্রমুখ। বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মোহাম্মদ ইলিয়াস এর সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলোওয়াত শেষে অ্যালামনাই থিম সং পরিবেশন করেন ব্যতিক্রম সাহিত্য সংস্কৃতি জোট।
পরবর্তীতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ এবং বিভাগটির ইতিহাস-ঐতিহ্য সংবলিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বিভাগটির সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেকেই চোখ হারিয়ে অন্ধ হেয়েছে, কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। তাদের সেই উৎসর্গের জন্য আমরা আজ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। মুক্ত বাতাসে পদচারণ করতে পারছি।
সুতরাং তাদের কে ভুলে যাওয়া যাবে না। আল-কুরআন বিভাগ প্রথমবারের মতো আজকে মুক্ত ভাবে এ অনুষ্ঠান করতে পেরেছে। সুতরাং আপনারা আপনাদের এই সুযোগ ভালো ভাবে কাজে লাগাবেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে বিভাগটির যাত্রা শুরু হয় এবং বর্তমানে বিভাগটিতে ৩৮তম ব্যাচ অধ্যায়নরত। আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে এরই মধ্যে ৩৩টি ব্যাচ বেরিয়ে গেছেন।