মালয়েশিয়ায় আলোচলায় বসতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

মালয়েশিয়ায় আলোচলায় বসতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

চলমান সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে থাইল্যান্ড সরকার নিশ্চিত করেছে যে তারা সোমবার মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এক উচ্চপর্যায়ের আঞ্চলিক শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে। আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

থাইল্যান্ডের সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হুয়াংসাপ জানান, এই শান্তি আলোচনা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে তিনি আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। তার সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়ামপংসা, উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল নাট্থাফন নাক্পানিচ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

প্রতিনিধি দলটি সোমবার সকাল ১০.৩০টার দিকে থাইল্যান্ডের রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে যাত্রা করবে এবং আলোচনার সূচনা হবে মালয়েশিয়া সময় বিকেল ৩টায়।

জিরায়ু বলেন, “এই আলোচনা শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। থাইল্যান্ড সরকার তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

এর আগে, ২৫ জুলাই সীমান্তে সংঘর্ষে থাইল্যান্ডের অন্তত ২০ জন সেনা সদস্য নিহত হন। কাম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচজন সেনা ও আটজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সহিংসতার কারণে দুই দেশের হাজার হাজার বাসিন্দাকে সীমানা এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রেখা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ রয়েছে, বিশেষ করে প্রেয়াহ ভিহেয়ার মন্দিরসংলগ্ন এলাকা ঘিরে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যে সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।