এবারে উলিপুরের এক মাদ্রাসায় শতভাগ ফেল, হতাশ অভিভাবকরা

এবারে উলিপুরের এক মাদ্রাসায় শতভাগ ফেল, হতাশ অভিভাবকরা
এল.আর.রচনা,কুড়িগ্রামঃ সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে উলিপুরে এক মাদ্রাসার সবাই ফেল করেছে, ফলে  অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার রাজবল্লভ বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবারে ২০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেছিল। এর মধ্যে ৫ জন অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সলেও সত্যি যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে ১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনও পাস করতে পারেনি। ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন গণিতে এবং ২ জন ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেছে।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০৭ সালেও এ প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। সে বছর ৭ জন পরীক্ষার্থীর ৭ জনই গণিতে ফেল করেছিল। ২০০৭ সালের পর থেকে মাদ্রাসার সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হাবিবুর রহমান নিয়মিত গণিত ক্লাস নিয়ে আসছিলেন। ফলে গণিতের সংকট আমরা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিলাম। সুপার আরও বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় রংপুরের পীরগাছা থেকে এনটিআরসি'র দশম ব্যাচের গণিতের শিক্ষক শারমিন আক্তার যোগদান করেন। তিনি গণিতে পারদর্শী নন। এ কারণেই রাজবল্লভ বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় আবারও ফল বিপর্যয়ে আমাদেরকে অনেক ব্যথিত এবং বিব্রত করেছে।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াহিদ বলেন,বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শতভাগ ফেল (অকৃতকার্য) হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে।