এনসিপির রাজনীতি সম্পর্কে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

এনসিপির রাজনীতি সম্পর্কে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘দিল্লি না ঢাকা’ স্লোগান উঠেছিল আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদী মিছিল থেকে। আজকের এই দিনে আমরা আবরার ফাহাদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

নাহিদ বলেন, আবরার ফাহাদ আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, এনসিপি সেই পথেই রাজনীতি করছে। তিনি বাংলাদেশপন্থি পথ, ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধী পথ, আগ্রাসনবিরোধী পথ আমাদের দেখিয়ে গেছেন। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে।

সেই পথ ধরেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। আরও পড়ুনঃ উড্ডয়নের সময় পড়ে গেল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান নাহিদ ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাইদ সকল শহীদদেরকে আমরা স্মরণ করি।

 ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৬ বছরে যারা গুম খুন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে আমরা সকল শহীদ ও নির্যাতিতদের ধারণ করি। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’য় আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছি। সেই শহীদরা যে স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখেছিল, যে স্বাধীন সার্বভৌম মর্যাদার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, যে বাংলাদেশপন্থি রাজনীতির উত্থান তারা দেখতে চেয়েছিল, আমরা সেই রাজনীতি করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আবরার ফাহাদ বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। বুয়েটের হলে ছাত্রলীগ দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আবরার ফাহাদের অপরাধ ছিল তিনি দেশের জন্য, দেশের পক্ষে কথা বলেছিলেন। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখেছিলেন।

 বাংলাদেশের সাথে ফেনী নদী চুক্তি করা হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে কথা বলেছিলেন বলে ভারতীয় তাঁবেদার সংগঠন, ফ্যাসিস্ট সংগঠন ছাত্রলীগ সারারাত নির্মম নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে।

আমাদের ভাই আবরার ফাহাদ শহীদ হন। ২০১৯ সালেই আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা বাংলাদেশে আমরা দিন দিন আধিপত্যবাদ বিরোধী এবং সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম।

সেই আন্দোলন আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মাইলফলক। আরও পড়ুনঃ উড্ডয়নের সময় পড়ে গেল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান নাহিদ আরও বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের পরে ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যা অনেক বড় ঘটনা ছিল আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে।

 আবরার ফাহাদের মৃত্যু এবং মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ভারতের আধিপত্য বিরোধী আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়েছিল। এ সময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপি নেতা সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিয়ন, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ফিহাদুর রহমান দিবস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ উড্ডয়নের সময় পড়ে গেল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান এছাড়াও এনসিপির অঙ্গ সংগঠন যুব শক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।