ড. ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে যা লিখলেন ট্রাম্প

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গত এপ্রিলে ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
এরপর বাড়তি এই শুল্ক কার্যকরের আগে ৩ মাস সময় দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেওয়া ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সেই চিঠি প্রকাশ করেছেন আপনাকে এই চিঠি পাঠানো আমার জন্য অনেক সম্মানের, যাতে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের দৃঢ়তা ও অঙ্গীকারের প্রতিফলন রয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে, যদিও আপনার দেশের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তারপরেও আমরা আপনার সঙ্গে সামনে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে তা হবে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাণিজ্যের ভিত্তিতে।
সে কারণে আমরা আপনাকে বিশ্বের এক নম্বর বাজার যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে অনেক বছর আলোচনা করেছি এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, বাংলাদেশের শুল্ক ও অশুল্ক, নীতিসমূহ এবং বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতার কারণে যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে।
দুঃখজনকভাবে, আমাদের সম্পর্ক একে অপরের সমকক্ষ থেকে অনেক দূরে। চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশের যেকোনো ও সব ধরনের পণ্যের ওপর আমরা মাত্র ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব। এই শুল্ক সব খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে।’