গ্রেপ্তারের ভয়ে গ্রামে পুরুষ নেই, কবর খুঁড়লেন পুলিশ সদস্যরা

গ্রেপ্তারের ভয়ে গ্রামে পুরুষ নেই, কবর খুঁড়লেন পুলিশ সদস্যরা

কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী গ্রামে মাদক বেচাকেনার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার পর গোটা গ্রাম গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

 শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রোকসানা আক্তার রুবি ও তার সন্তানদের মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হয়। কিন্তু কবর খোঁড়ার জন্য মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে। পরে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে খোঁড়া হয়েছে কবর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্ত শেষ হলেও মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি কেউ। বিকেলের দিকে নিহত রুবির মেয়ে জামাই মনির হোসেন মরদেহ গ্রহণ করে। আরও পড়ুনঃ যে কারণে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলো সাবেক ভূমিমন্ত্রী হীরাকে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা শুক্রবার রাতের মধ্যেই মামলা করবে বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই সকাল ৯টায় মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে এলাকাবাসী হামলা করে রোকসানা বেগম রুবি ও তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় রুমা নামে রোকসানার আরও এক মেয়ে গুরুতর আহত হন। নিহতের স্বজনরা এখনও এই ঘটনায় মামলা করেননি।

আরও পড়ুনঃ বাবার লাশ নিতে অস্বীকৃতি, তারপর যা ঘটল নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার জানান, রুবির বাড়ির সামনে ৮০-৯০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে। প্রথমে তারা বাড়িতে ইট ছোড়ে, পরে ঢুকে পড়ে। রুবিকে মারতে মারতে ওঠানে ফেলে রাখে।

 পাশের ঘর থেকে মেয়েরা বের হলে তাদেরও পেটানো হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল।